সারাদেশে সিনোফার্মের টিকাদান শুরু, কাল থেকে মডার্নার
করোনা সংক্রমণরোধে আজ সোমবার (১২ জুলাই) থেকে সারাদেশে চীনের সিনোফার্মের টিকা প্রয়োগ শুরু হয়েছে। আগামীকাল মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) থেকে সিটি করপোরেশনের হাসপাতালগুলোতে শুরু হবে কোভ্যাক্সের মডার্নার টিকা প্রয়োগ। ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। সব জেলায় সিনোফার্মের টিকাও পৌঁছে গেছে। টিকা কর্মসূচির পরিচালক অধ্যাপক ডা. শামসুল হক একথা জানান।
তিনি বলেন, শনিবার রাতেই সিটি করপোরেশনের ভেতরের টিকা কেন্দ্রগুলোতে মডার্নার টিকা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। টিকার আওতা বাড়িয়ে ৩৫ বছর পর্যন্ত করা হয়েছে। সুরক্ষা অ্যাপের মাধ্যমে এখন ৩৫ বছর ও এর বেশি বয়সীরা টিকার জন্য নিবন্ধন করতে পারছেন। নিবন্ধনের পর এসএমএস দেওয়া হবে এবং তারপর নির্দিষ্ট দিনে নির্দিষ্ট কেন্দ্রে গিয়ে টিকা নিতে হবে।
শামসুল হক বলেন, হাসপাতালগুলোতে টিকা দিতে আগেই আমরা সিনোফার্মের টিকা পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু এখন যেহেতু গণটিকা প্রয়োগ শুরু হচ্ছে, তাই জেলাগুলোতে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে।
শামসুল হক বলেন, ফাইজারের যে এক লাখ ডোজ টিকা পেয়েছিলাম, সেগুলো দিয়ে আমরা চারটি মেডিক্যাল কলেজ এবং তিনটি বিশেষায়িত হাসপাতালসহ ঢাকার মোট সাতটি কেন্দ্রে কার্যক্রম শুরু করেছি। এই সাতটি হাসপাতালে এখন ফাইজারের টিকার কার্যক্রম চলবে। এই কার্যক্রম শেষ হয়ে গেলে তারপর এসব কেন্দ্রে মডার্নার টিকা কার্যক্রম চালু হবে।
প্রবাসীদের টিকা কার্যক্রম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সৌদি আরব, কুয়েতসহ যেসব দেশে চীনের টিকা নিয়ে সমস্যা ছিল সেসব দেশে যাঁরা যাবেন তাঁদের ফাইজারের টিকা দেওয়া হচ্ছে। তাঁদের মডার্নার টিকাও দেওয়া যাবে। কারণ ওই দেশগুলোতে মডার্নার টিকার সনদও গ্রহণ করা হচ্ছে। ফলে ঢাকার বাইরের বিদেশগামী শ্রমিকরা যাঁর যাঁর অঞ্চলের সিটি করপোরেশন এলাকার কেন্দ্রে গিয়েই টিকা নিতে পারবেন। তাঁদের টিকা নিতে ঢাকায় আসতে হবে না। আর সিটি করপোরেশনের বাইরে সারা দেশে দেওয়া হবে চীনের সিনোফার্মের টিকা।
তিনি বলেন, আমাদের অনেক শিক্ষার্থী দেশের বাইরে পড়াশোনা করেন। তাদের টিকা এখনই প্রয়োজন। আমরা বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেছি। খুবই অল্পসময়ের মধ্যে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারব।