‘কঠোর লকডাউন’ বাড়বে কিনা সিদ্ধান্ত আজ
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে গত ১ জুলাই থেকে সারা দেশে কঠোর লকডাউন শুরু হয়েছে। ঘোষণা অনুযায়ী ১৪ জুলাই পর্যন্ত তা চলার কথা। এরপরও আরেকটা দফা কঠোর এ লকডাউন বাড়বে কিনা তা আজ সোমবার (১২ জুলাই) জানা যাবে।
এদিন রাতে করোনা সংক্রান্ত কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। সে অনুযায়ী ১৩ জুলাই বিধিনিষেধ সংক্রান্ত আদেশ জারি হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। তিনি রবিবার তিনি গণমাধ্যমকে এসব কথা বলেছেন।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, করোনা পরিস্থিতি দিন দিন খারাপ হচ্ছে। আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। এবার করোনা এমনভাবে ছড়িয়েছে যা ভয়াবহ। এ প্রক্রিয়া (চলমান কঠোর বিধিনিষেধ) অব্যাহত রাখতে হবে। ঈদ ও কোরবানির পশুরহাট একটা বড় চ্যালেঞ্জ। এটা সুনিয়ন্ত্রিতভাবে মোকাবিলা করতে চায় সরকার।
তিনি বলেন, ডিজিটাল পশুরহাটের পাশাপাশি সারা দেশে স্বাভাবিক হাটও বসবে। করোনার কারণে বাউন্ডারিযুক্ত খোলা মাঠে পশুরহাট বসানোর চিন্তাভাবনা চলছে। ১৫ জুলাই থেকে ২০ জুলাই পর্যন্ত এই ৬ দিন হাট বসবে। হাটগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই সবাইকে আসতে হবে।
পড়ুন: কারিগরি কমিটি পরামর্শ দিলে বাড়তে পারে বিধিনিষেধ
কোরবানির হাটের মডেল সম্পর্কে তিনি বলেন, হাটের ৩টি পথ থাকবে। এর একটি দিয়ে পশুসহ প্রবেশ করবে। একটি দিয়ে ক্রেতা প্রবেশ করবে এবং অপরটি দিয়ে ক্রেতা বের হয়ে যাবে। মৃত্যু ও সংক্রমণ মাথায় রেখেই হাটে আসতে হবে। হাটের সংখ্যা ও পরিস্থিতি বিশেষজ্ঞ কমিটি যেভাবে সুপারিশ করবে সেভাবেই সরকার ব্যবস্থা নেবে।
বিধিনিষেধ বাড়ানোর প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, গতবার ঈদে গ্রামে এত সংক্রমণ ছিল না। এবার গ্রামে সংক্রমণ বেশি। তাই সবাইকে ঈদে গ্রামে যেতে নিরুৎসাহিত করা হবে। নিজেকে ও পরিবারকে সুরক্ষিত রাখতে আমাদের সবাইকে সর্বোচ্চ সর্তক থাকতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখনো এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। কাল (সোমবার) রাতে এ বিষয়ে বৈঠক হবে, তারপর জানানো হবে। সংক্রমণ কমানোর চেষ্টা চলছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য কঠোরতা থাকবেই। সংক্রমণ ৫ শতাংশের মধ্যে না আসা পর্যন্ত এ ধারা অব্যাহত থাকবে। যারা অকারণে বের হবে তাদের জরিমানাসহ গ্রেফতার করা হবে।