১১ জুলাই ২০২১, ১৭:২৩

কারিগরি কমিটি পরামর্শ দিলে বাড়তে পারে বিধিনিষেধ

কারিগরি কমিটি পরামর্শ দিলে বাড়তে পারে বিধিনিষেধ  © ফাইল ছবি

করোনা সংক্রান্ত কারিগরি পরামর্শক কমিটি পরামর্শ দিলে চলমান বিধিনিষেধ আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। আজ রবিবার (১১ জুলাই) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে যে পরিস্থিতি চলছে, তাতে পুরোপুরি স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাওয়ার মতো জায়গায় পৌঁছানো যায়নি। করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে চলমান বিধিনিষেধ ঈদের আগেও থাকবে কি না, তা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে।

তিনি বলেন, জীবনে অনেকবার ঈদ আসবে যদি বেঁচে থাকি। ঈদের আগে গণপরিবহন চলবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, যদি বিধিনিষেধ চলমান থাকে, তাহলে সেই সুযোগ নেই। আর যদি বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করা হয়, তাহলে সীমিত আকারে গণপরিবহন চলবে। যদি পুরোপুরি উঠে যায়, তাহলে পুরোপুরি চলবে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে গত ১ জুলাই থেকে সারা দেশে কঠোর বিধিনিষেধ শুরু হয়েছে। ঘোষণা অনুযায়ী ১৪ জুলাই পর্যন্ত তা চলার কথা। এদিকে, দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু ও সংক্রমণ সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। গতকাল শনিবার করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরও ১৮৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন আরও ৮ হাজার ৭৭২ জন।

এ অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার (০৮ জুলাই) পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দুই সপ্তাহের পরিপূর্ণ লকডাউন দিয়ে মানুষকে ঘরে রাখতে প্রয়োজনে কারফিউ জারি করার পরামর্শ দিয়েছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী। তিনি দৈনিক কমপক্ষে এক লাখ মানুষের করোনা পরীক্ষা করা, একজন আক্রান্ত হলে পুরো পরিবারকে আইসোলেশনে রাখারও পরামর্শ দেন। অন্যথায় পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হওয়ার আশঙ্কা করেছেন।

তিনি বলেছেন, এখন যে আংশিক লকডাউন হচ্ছে এর সুফল হয়তো মিলতে পারে কমপক্ষে আরও এক সপ্তাহ পর। কিন্তু এর আগে যদি মানুষকে ঘরবন্দি করা না যায়, কোথায় কে আক্রান্ত সেটা চিহ্নিত করা না যায় তাহলে পরিস্থিতি আরো খারাপ হবে। এখনই হাসপাতালগুলোতে জায়গা হচ্ছে না। অক্সিজেনের সংকট শুরু হয়ে গেছে। সামনে আরো খারাপ হতে পারে।