০৯ জুলাই ২০২১, ১৫:৩৮

ছুটির দিনে ফাঁকা রাজধানীর সড়ক

লকডাউনের ৯ম দিনে পাল্টে গেছে রাজধানীর সড়কের চিত্র  © টিডিসি ফটো

মহামারী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকার নির্দেশিত কঠোর লকডাউনের নবম দিনে পাল্টে গেছে সড়কের চিত্র। লকডাউনের বিধিনিষেধ অনুযায়ী মানুষের সার্বিক কার্যাবলী ও স্বাভাবিক চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তৃতীয় দিন থেকেই সড়কে ছিলো ব্যক্তিগত যানবাহন এবং মানুষের চলাচল। তবে আজ শুক্রবার (৯ জুলাই) ছুটির দিন হওয়ায় একেবারেই ফাঁকা রাজধানীর মহাসড়কগুলো।

সরেজমিনে রাজধানীর আসাদগেট, শুক্রাবাদ, ধানমন্ডি-৩২ ও কলাবাগান এলাকা ঘুরে দেখা যায়, মূল সড়ক ও সংযোগ সড়কগুলোতে একেবারেই শুনশান নিরবতা। সড়কগুলোতে চলছে হাতেগোনা কিছু প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেল। অন্যান্য দিনের তুলনায় রিকশার পরিমাণও তুলনামূলক কম। জন ও যান চলাচল কম হওয়ায় বিধিনিষেধ মানাতে স্থাপন করা পুলিশের চেকপোষ্ট গুলোতেও তেমন তৎপরতা দেখা যায়নি সংশ্লিষ্ট আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের।

ধানমন্ডি-৩২ এলাকার রাসেল স্কয়ার মোড় ট্রাফিক পুলিশ বক্স সংলগ্ন তল্লাশি চৌকিতে গুটি কয়েক থানা পুলিশের তৎপরতা দেখা যায়। অবশ্য যানবাহন এবং মানুষের চলাচল না থাকায় তাদেরও অনেকটা অবসর সময় কাটাতে দেখা যায়।

দায়িত্বপালনরত ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের পুলিশ সার্জেন্ট নাজমুল হক বলেন, শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় সড়কে মানুষের চলাচল নেই। যানবাহনের সংখ্যাও একেবারে কম। তবে দুপুরের আগ পর্যন্ত রাস্তাঘাট ফাঁকা থাকলেও বিকেলের দিকে কিছুটা ভিড় বাড়তে পারে বলে আমরা ধারণা করছি। আমরা আমাদের চেক পোষ্ট গুলোতে তৎপর রয়েছি যেন কেউ অযথা ঘোরাফেরা করার সুযোগ না পায়।

অপরদিকে মহাসড়কের আশেপাশের দোকানপাট বন্ধ থাকলেও বেশ জমজমাট ছিল আবাসিক এলাকার সংশ্লিষ্ট বাজার এবং মুদি দোকানগুলো। সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় অনেকেই বের হচ্ছিলেন বাজার করতে। তবে করোনা সংক্রমনের ঊর্ধ্বগতির মাঝেও এসব মানুষদের অনেকেই স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে দেখা যায়নি। সঠিকভাবে মাস্ক পরিধানেও ছিল অনেকের অনীহা।

শুক্রাবাদ কাঁচাবাজারের মুদি দোকানি আলমগীর হোসেন বলেন, শুক্রবার হওয়াতে কমবেশি সবাই সাপ্তাহিক বাজারের জন্য বের হয়েছেন। সকাল থেকেই ভালো বেচাকেনা হচ্ছে। তবে ভয়ে আছি কখন পুলিশ চলে আসে।

উল্লেখ্য, গতকাল বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) রাজধানীতে সরকারি বিধি নিষেধ উপেক্ষা করে অকারণে ঘর থেকে বের হওয়ায় এবং লকডাউনের মধ্যে প্রতিষ্ঠান খোলা রাখায় ৩১৮ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ১৬ লাখ ৭৯০ টাকা জরিমানা করা হয়।

এর আগে বুধবার (৭ জুলাই) লকডাউনের বিধিনিষেধ অমান্য করায় রাজধানী থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ৫২৩ জনকে। যাদের প্রত্যেককে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মঈনুল ইসলামের আদালত ১০০ টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে এক ঘন্টা করে কারাদণ্ড প্রদান করে। এছাড়াও গত মঙ্গলবার (৬ জুলাই) ৭৫৮ জনকে, সোমবার (৫ জুলাই) ৬৮৭ জনকে, ৪ জুলাই ৬৩৬ জনকে, ৩ জুলাই ৬০৭ জনকে এবং ২ জুলাই ৬২৯ জনকে জরিমানা করা হয়।