‘প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত কুচক্রী মহল’
রাজধানীর মিরপুর কলেজের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে শিক্ষকদের মধ্যে একটি কুচক্রী মহল দীর্ঘদিন ধরে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত বলে অভিযোগ করেছেন কলেজটির অধ্যক্ষ গোলাম ওয়াদুদ। তিনি বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘদিন সুনামের সাথে পরিচালিত হয়ে আসছে। প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা ও ভালো ফলাফলের পাশাপাশি সকল ক্ষেত্রে কলেজটি সুনাম অর্জন করেছে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষকদের একটি মহল প্রতিষ্ঠানটির ভাবমূর্তি নষ্ট করতে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) সকালে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ২০১৩ সাল থেকে সরকারি সকল বিধিবিধান মেনে অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ পেয়ে কলেজের সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। কলেজের গভর্নিং বডির সাবেক সভাপতি, ঢাকা ১৪ আসনের প্রয়াত সংসদ সদস্য আসলামুল হকের দিক নির্দেশনা ও সহযোগিতায় বিগত দিনে কলেজের অবকাঠামোগত ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে, যা সবাই অবগত।
গোলাম ওয়াদুদ বলেন, কিছু শিক্ষক দীর্ঘদিন ধরে কলেজের বিরুদ্ধে নানাবিধ ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল। কিন্তু গভর্নিং বডির সাবেক সভাপতির জীবদ্দশায় তারা তাদের ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করার সাহস পাননি। সভাপতির মৃত্যুর পর পরই এই চক্রটি তাদের দীর্ঘদিনের লালিত হীন স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য উঠে পড়ে লাগে। তারা বিভিন্ন ভিত্তিহীন ও মনগড়া কিছু কাল্পনিক তথ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়সহ বিভিন্ন অফিসে দরখাস্ত জমা দেয়। তারা অর্থ দিয়ে এবং প্রভাব খাটিয়ে মিথ্যা ও অতিরঞ্জিত করে সংবাদ ছাপায় এবং আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হয়।
অধ্যক্ষ গোলাম ওয়াদুদ বলেন, কলেজের বর্তমান অধ্যক্ষ হিসেবে আমার মতো মুক্তিযুদ্ধে চেতনায় বিশ্বাসী একজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগুলো মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। তাদের মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতিতে দুই একটি মিডিয়া আমার বিরুদ্ধে এখনো মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। যার ফলে আমার স্বনামধন্য কলেজের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি উল্লেখ করেন, অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে কলেজের সকল শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতাসহ প্রাপ্য অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করেছি। তবুও কতিপয় শিক্ষক আমার নিকট থেকে অবৈধ ও অন্যায় সুযোগ-সুবিধা না পেয়ে নানাভাবে বিভিন্নজনকে প্রভাবিত করে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও কাল্পনিক অভিযোগ প্রদানের অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে। কিন্তু আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগগুলো মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
তিনি জানান, আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগে উল্লেখিত প্রতিটি ব্যয়সমূহ কলেজের সংশ্লিষ্ট কমিটি কর্তৃক সম্পন্ন করাসহ বিজ্ঞ গভর্নিংবডি কর্তৃক তা রেজুলেশনের মাধ্যমে যথাযথভাবে অনুমোদিত রয়েছে। কলেজের বার্ষিক সকল আয়-ব্যয় অভ্যন্তরীণ এবং সি.এ ফার্ম কর্তৃক ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছর পর্যন্ত অডিট করা আছে। পত্রিকায় প্রকাশিত আমার বিরুদ্ধে আনিত মিথ্যা অভিযোগের যথাযথ জবাব ও দালিলিক প্রমাণাদি কলেজে সংরক্ষিত আছে। আমার ব্যক্তিগত ও পারিবারিক সম্পত্তির পরিমাণের যে অভিযোগ দেয়া হয়েছে তাও সঠিক নয়। যদিও অভিযোগুলোর ব্যাপারে তদন্ত চলছে।
অধ্যক্ষ গোলাম ওয়াদুদ আরও বলেন, যেহেতু তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়নি বা তদন্ত কমিটির মাধ্যমে রিপোর্ট এখনো আমার কাছে পৌঁছায়নি, সেহেতু ষড়যন্ত্রকারীদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে দু’টি গণমাধ্যম মিথ্যা সংবাদ প্রচারের কারণে তদন্ত কাজকেও প্রভাবিত করেছে। তবে আমি আশা করি, অভিযোগগুলো যাচাই-বাছাই করলে তা মিথ্যা প্রমাণিত হবে এবং বাস্তবচিত্র সবার সামনে সঠিকভাবে উন্মোচিত হবে। এক্ষেত্রে আমি তদন্ত কমিটির কাছে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করি।