ঈদে কি বাড়ি ফেরা যাবে?
বর্তমানে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ভয়াল রূপ দেখছে দেশ। গত কয়েকদিন থেকে প্রায় প্রতিদিনই বাড়ছে সংক্রমণ ও মৃত্যু। আজ সোমবার (৫ জুলাই) এক দিনে করোনায় জোড়া রেকর্ড গড়ল। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৩৪ হাজার নমুনা পরীক্ষা করে ৯ হাজার ৯৬৪ জনের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। আর আক্রান্তদের মধ্যে আরও ১৬৪ জনের প্রাণ গেছে এ ভাইরাসের কারণে।
এ অবস্থায় আজ কঠোর লকডাউন আরও সাতদিন বাড়ানো হলো। তবে এই সাতদিন শেষে আগামী ১৪ জুলাইয়ের পর আসন্ন ঈদের আগে-পরে এটি আরও বাড়ানো হবে কিনা- তা নিয়ে জানার আগ্রহ জনসাধারণের। আবার ঈদের তিনদিনের ছুটি বাড়বে কিনা, লকডাউন না থাকলে ঈদের ছুটি বাড়বে কিনা, ছুটি থাকলে কর্মস্থল ত্যাগ করা যাবে কিনা- ইত্যাদি বিষয় নিয়ে সরকারি-বেসরকারি কর্মজীবীর পাশাপাশি ব্যবসায়ী এবং সাধারণ মানুষসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে আলোচনা উঠেছে।
তবে সরকারের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে চলমান লকডাউন ঈদের ছুটির সময়েও থাকবে কি না, সেটি করোনা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে। চলমান ১৪ দিনের বিধিনিষেধের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে চলাচলসহ কিছু ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ অবশ্যই থাকবে। আর কোরবানির হাট চলতে দেওয়া হলেও লোকজনের আসা–যাওয়ার বিষয়টি হবে খুবই নিয়ন্ত্রিত।
এ বিষয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, ঈদের আগেও চলমান লকডাউন থাকবে কি না, সেটা পরিস্থিতি বলে দেবে। চলমান ১৪ দিনের লকডাউন পর্যবেক্ষণ করে দেখা হবে। তবে কিছু বিধিনিষেধ তো অবশ্যই থাকবে। কারণ, গত ঈদের সময় বাড়ি যাওয়ার কারণেই সংক্রমণ বেড়েছিল। এবার সরকারের পক্ষ থেকে বলা হতে পারে যে যেখানে আছেন, সেখানে যেন ঈদ করেন।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, এবার ডিজিটাল কোরবানির হাটের ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হবে। মানুষ যাতে সেখানে নির্ঝঞ্ঝাটভাবে কেনাকাটা করতে পারে, সে ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে। দাম ও ওজনের সমন্বয় থাকবে। আর যদি সশরীর হাট করতে হয়, তাহলে সেগুলো খুবই নিয়ন্ত্রিত হবে। প্রবেশ ও বের হওয়ার পথ আলাদা থাকবে। স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মানতে হবে। নির্দিষ্টসংখ্যক মানুষের বাইরে কেউ প্রবেশ করতে পারবেন না।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২০ বা ২১ জুলাই ঈদ-উল আজহা উদযাপিত হবে। ঈদের তারিখ নির্ধারণে আগামী ১১ জুলাই বসবে চাঁদ দেখা কমিটি। তবে ঈদ ২১ জুলাই ধরে সরকারি ছুটি ২০-২২ জুলাই (মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার) তিন দিন ধরা আছে। এই হিসেবে সরকারি ছুটি থাকবে পাঁচদিন। আর সেই ছুটিতে কর্মস্থল ত্যাগ করা যাবে কিনা, সেটি নিয়েও আলোচনা চলছে।