০৫ জুলাই ২০২১, ১২:০৯

 কঠোর লকডাউন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত আসছে

করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে কঠোর বিধিনিষেধ  © ফাইল ফটো

করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে চলমান কঠোর বিধিনিষেধ আরো এক সপ্তাহ বাড়ানোর জন্য সরকারকে পরামর্শ দিয়েছে করোনাসংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। আর সরকারও চলমান বিধিনিষেধ আরো এক সপ্তাহ বাড়ানোর পরিকল্পনায় রয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, চলমান বিধিনিষেধ আরো এক সপ্তাহ বাড়ানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে। আজ কিংবা আগামীকাল মঙ্গলবার লকডাউন বাড়ানোর বিষয়ে ঘোষণা আসতে পারে।

এদিকে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় রোজ মৃত্যু বাড়ছে। শনাক্ত রোগীর সংখ্যাও বেড়েই চলেছে। গতকাল রবিবার এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ একদিনে ১৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর ৮৬৬১ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার বেড়ে ২৮ দশমিক ৯৯ শতাংশ।  

এ বিষয়ে রবিবার কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সদস্য অধ্যাপক এম ইকবাল আর্সলান বলেন, করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আমরা আগেই কমপক্ষে দুই সপ্তাহ লকডাউনের পরামর্শ দিয়েছিলাম। সুপারিশে আমরা বলেছিলাম করোনার সুফল পেতে হলে তিন সপ্তাহ লকডাউন আইডিয়াল, না হলে কমপক্ষে দুই সপ্তাহ লকডাউন দিতে হবে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, করোনায় যে হারে মৃত্যু ও আক্রান্ত হচ্ছে, বিধিনিষেধ বাড়ানো ছাড়া সরকারের কাছে অন্য কোনো পথ খোলা নেই।

কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সুপারিশের আলোকে ২৮ জুন থেকে ৩০ জুন তিন দিন সীমিত পরিসরে লকডাউন ঘোষণা করে সরকার। এরপর ১ জুলাই থেকে দেশব্যাপী শুরু হয় কঠোর বিধিনিষেধ। যা শেষ হবে ৭ জুলাই। নতুন করে ৭ দিন সময় বাড়ানো হলে ১৪ জুলাই পর্যন্ত চলবে এই কঠোর বিধিনিষেধ।

গত ৩০ জুন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করে লকডাউনের বিধিনিষেধ দেওয়া হয়েছে।বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে মাঠে রয়েছে সেনাবাহিনী। বিনা প্রয়োজনে বের হলেই গ্রেফতার করা হচ্ছে। গত চারদিনে শুধু ঢাকায়ই সহস্রাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।