০২ জুলাই ২০২১, ১০:২৯

সিনোফার্ম ও মডার্নার টিকা আসছে আজ

সিনোফার্ম ও মডার্নার টিকা আসছে আজ  © টিডিসি ফাইল ফটো

যুক্তরাষ্ট্র ও চীন থেকে আজ রাতে এবং শনিবার ভোরে আসছে সিনোফার্ম ও মডার্নার করোনা ভ্যাকসিন। রাতে আসবে চীনের সিনোফার্মের কাছ থেকে বাংলাদেশ সরকারের কেনা দেড় কোটি ডোজের প্রথম লটের ২০ লাখ ডোজ আর কোভ্যাক্স থেকে বিনা মূল্যে দেওয়া মডার্নার ১২ লাখ ডোজ। আগামীকাল আসবে মডার্নার আরো ১৩ লাখ ডোজ।

গত বুধবার বেইজিংয়ের টিকার সেন্ট্রাল স্টোর থেকে সিনোফার্মের ওই টিকা সেখানকার বিমানবন্দরে পাঠানো হয়েছিল। তবে সেখানে বাকি প্রক্রিয়া শেষ হতে কিছুটা দেরি হওয়ায় গতকাল বৃহস্পতিবার তা ঢাকায় পাঠাতে পারেনি বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক সূত্র জানিয়েছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক গণমাধ্যমকে জানান, শুক্রবার রাত ১১টা ২০ মিনিটে আমেরিকা থেকে বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মডার্নার ১২ লাখ ডোজ টিকা আসবে এবং শনিবার ভোরে মডার্নার বাকি ১৩ লাখ ডোজ আসবে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক নিজে বিমানবন্দরে উপস্থিত হয়ে ওই টিকা গ্রহণ করবেন।

এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (টিকা) ডা. শামসুল হক জানান, শুক্রবার রাতে মডার্নার টিকা আসার কাছাকাছি সময়েই একই স্থানে এসে পৌঁছাবে চীনের সিনোফার্ম থেকে কেনা টিকার প্রথম লটের ২০ লাখ ডোজ। মডার্নার টিকা সংরক্ষণ ও সরবরাহের জন্য সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উপযুক্ত শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র প্রস্তুত করা হয়েছে, যদিও দেশে কোনো এক সংরক্ষণাগারে মডার্নার ২৫ লাখ ডোজ টিকা একসঙ্গে মাইনাস ১৫ থেকে মাইনাস ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সংরক্ষণের সক্ষমতা নেই। তবে ২ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় এক মাস সময় পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়। এ ক্ষেত্রে এক মাসের মধ্যে মডার্নার টিকা দিয়ে শেষ করে ফেলা গেলে ২ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ইপিআইয়ের সংরক্ষণাগারেই তা রাখা যাবে। আবার ৮ থেকে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যাবে।

ওই কর্মকর্তা জানান, গতকাল থেকে সারা দেশে সিনোফার্মের টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। একই সঙ্গে অগ্রাধিকার তালিকায় থাকা মানুষের জন্য নিবন্ধনপ্রক্রিয়াও আবার উন্মুক্ত করা হয়েছে। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত এই টিকা কার্যক্রম চলবে।

সিনোফার্মের টিকায় প্রথমেই অগ্রাধিকার পাচ্ছেন আগে যাঁরা প্রথম ডোজের জন্য নিবন্ধন করেও পাননি তেমন ব্যক্তিরা। তারপর সরকারি স্বাস্থ্যকর্মী ও পুলিশ সদস্যদের মধ্যে আগে যাঁরা টিকা পাননি, বিদেশগামী কর্মীরা, সরকারি-বেসরকারি মেডিক্যাল, ডেন্টাল ও নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীরা, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক শিক্ষার্থীরা, জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন প্রকল্পে কর্মরত ব্যক্তিরা, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের মধ্যে যাঁরা এখনো টিকা নিতে পারেননি, কভিডে আক্রান্ত হয়ে মৃতদের দাফন বা সৎকারে নিয়োজিতরা এবং চীনা নাগরিকরা টিকা পাবেন।