৩০ জুন ২০২১, ০৮:০৯

আজ কঠোর লকডাউনের প্রজ্ঞাপনে যা থাকছে

আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে কঠোর লকডাউন  © ফাইল ফটো

করোনা সংক্রমণ রোধে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) থেকে শুরু হচ্ছে এক সপ্তাহের কঠোর লকডাউন। এ সময়ে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হলেই কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে এদিন ভোর ৬টা থেকে সারা দেশে সর্বাত্মক লকডাউন শুরু হবে।

মঙ্গলবার (২৯ জুন) রাতে এক তথ্য বিবরণীতে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার থেকে জরুরি পরিষেবা প্রদানকারী কর্মরত ব্যক্তিরা ছাড়া এবং জরুরি কারণ ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে বের হলে তার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয় বলে জানিয়েছেন সরকারের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউসসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার প্রতিনিধিরা সভায় অংশ নেন।

বিধিনিষেধ সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য জানিয়ে আজ বুধবার (৩০ জুন) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। মাস্ক পরিধানসহ সব ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে সবাইকে অনুরোধ জানিয়েছে সরকার। মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলারও অনুরোধ জানানো হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, লকডাউনে পুলিশ-বিজিবির পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনীও মাঠে থাকবে। তবে গার্মেন্টস খোলা থাকছে। চলবে বিমানের আন্তর্জাতিক ফ্লাইটও।

এদিকে গত সোমবার (২৮ জুন) থেকে গণপরিবহন, শপিং মল, মার্কেটসহ বিভিন্ন কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এটিকে বলা হচ্ছে ‘সীমিত পরিসরের লকডাউন’, যা বৃহস্পতিবার সকাল ছয়টা পর্যন্ত চলব। এরপর শুরু হবে কঠোর বিধিনিষেধ।

সোমবার (২৮ জুন) মন্ত্রিসভা বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, ১-৭ জুলাই কঠোর লকডাউনে সাধারণ ছুটি থাকছে না, নিষেধাজ্ঞা থাকবে। লকডাউন মানে সব বন্ধ। কিন্তু তা তো পারবেন না। খোলা রাখতে হয় অনেক কিছুই। ১ তারিখ ভোর ৬টা থেকে ৭ তারিখ রাত ১২টা পর্যন্ত স্ট্রিক্ট ভিউতে যাচ্ছি আমরা। এখন বিধি-নিষেধ আরোপ করা ছাড়া উপায় নেই।

৭ জুলাইয়ের পর বাড়বে কি না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমাদের যে অভিজ্ঞতা সেখানে দেখেছি, যেসব এলাকায় স্ট্রিক্টলি ব্লক করে দেওয়ায় অনেক কমে গেছে। যেখানে আইসোলেটেড করেছি, মুভমেন্ট রেস্ট্রিকটেড করেছি, সেখানে ইম্প্রুভ করেছে। সরকার যদি মনে করে আরও সাত দিন যাওয়া প্রয়োজন, সেটিও বিবেচনায় আছে।’