আজ থেকে তিন দিন যা খোলা থাকবে, যা বন্ধ
করোনা সংক্রমণ রোধে সোমবার থেকে সীমিত পরিসরে ‘লকডাউন’ শুরু হয়েছে। এই সময় থেকে গণপরিবহন ও শপিংমল বন্ধ রেখে এবং অফিস-আদালতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক জনবল নিয়ে সীমিত পরিসরে চালু রাখা হয়েছে। আর সাত দিনের ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ শুরু হবে বৃহস্পতিবার থেকে।
রোববার বিকালে তিন দিনের বিধিনিষেধ আরোপ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। কঠোর লকডাউন শুরুর আগে সোমবার থেকে আগামী তিন দিনের বিধিনিষেধে কী কী খোলা থাকবে, কী কী বন্ধ থাকবে- তা স্পষ্ট করেছে সরকার।
এই বিধিনিষেধের মেয়াদ শেষে ১ জুলাই থেকে সর্বাত্মক লকডাউনের ঘোষণা শুরু হবে। এর আগে, গত শুক্রবার করোনা সংক্রমণ আশঙ্কাজনকভাবে বাড়তে থাকায় প্রতিরোধে সোমবার থেকে সারা দেশে ‘কঠোর লকডাউন’ জারির ঘোষণা দেয় সরকার।
কিন্তু পরদিন শনিবার সরকারের উচ্চপর্যায়ের বৈঠক শেষে সিদ্ধান্তের কিছুটা পরিবর্তন আনার কথা জানানো হয়। বলা হয়, সোমবার থেকে সীমিত পরিসরে এবং ১ জুলাই থেকে সারা দেশে সর্বাত্মক লকডাউন শুরু হবে। রোববার এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
পড়ুন: সীমিত পরিসরে লকডাউন শুরু, প্রশাসনের কঠোর অবস্থান
এর পরিপ্রেক্ষিতে রোববার তিন দিনের বিধিনিষেধ আরোপ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। তিন দিনের বিধিনিষেধে যে পাঁচ শর্ত দেওয়া হয়েছে, সেগুলো হলো-
(১) সারা দেশে পণ্যবাহী যানবাহন ও রিকশা ব্যতীত সব গণপরিবহণ বন্ধ থাকবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক নিয়মিত টহলের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
(২) সব শপিংমল, মার্কেট পর্যটন কেন্দ্র রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ থাকবে।
(৩) খাবারের দোকান, হোটেল-রেস্তোরাঁ সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খাবার বিক্রয় (শুধুমাত্র Online/Take way) করতে পারবে।
(৪) সরকারি-বেসরকারি অফিস/প্রতিষ্ঠানসমূহে শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মকর্তা/কর্মচারীর উপস্থিতি নিশ্চিত করতে নিজ নিজ অফিসের ব্যবস্থাপনায় তাদের আনা-নেওয়া করতে হবে।
(৫) জনসাধারণকে মাস্ক পরার জন্য আরও প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।