বাবার অত্যাচার থেকে মাকে বাঁচাতে গিয়ে ছেলের মৃত্যু

নিহত সুমনের লাশ
নিহত সুমনের লাশ  © সংগৃহীত

বাবার অত্যাচার থেকে মাকে রক্ষা করতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছে স্কুল পড়ুয়া এক ছাত্র। বুধবার (২৩ জুন) সকালে বরগুনার তালতলী মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটেছে। নিহত শিক্ষার্থীর নাম মো. সুমন।  সে তালতলী সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তালতলী উপজেলা শহরের টিএনটি সড়কের বাসিন্দা ও সুমনের বাবা আসাদুল খানের সঙ্গে তার স্ত্রী সেলিনা বেগমের প্রায় প্রতিদিনই ঝগড়া হতো। ঘটনার দিন সকালে তারা আবারও ঝগড়ায় জড়িয়ে পড়েন। এসময় পুত্র সুমন বাড়িতে ছিল না। ঝগড়ার কিছুক্ষণ পরে সুমন বাড়িতে এসেই দেখে তার পিতা আসাদুল খান মা সেলিনা বেগমকে দা দিয়ে কোপাতে চেষ্টা করছে। এসময় সুমন তার বাবার হাত থেকে মাকে বাঁচাতে সামনে গিয়ে দাঁড়ায়। ওই মুহূর্তে পিতার দায়ের কোপ সুমনের কপালে লাগে। মুহূর্তের মধ্যেই সুমন মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।

তাৎক্ষণিক আসাদুল খান ও স্থানীয়রা সুমনকে চিকিৎসার জন্য তালতলী হাসপাতালে নিয়ে যান। ওই হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ফাইজুর রহমান সঙ্কটজনক অবস্থায় সুমনকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করেন। অবস্থা খারাপ দেখে আসাদুল খান সুমনকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। পরে ওই হাসপাতালে রেখে আসাদুল খান পালিয়ে যান। দুপুর ১টার দিকে ওই হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. কে এম তানজিরুল ইসলাম সুমনকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে নিহত সুমনের মা সেলিনা বেগম বলেন, সংসারের তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে আমার স্বামী প্রায়ই আমাকে মারধর করত। আজ আমাকে রক্ষা করতে গিয়েই আমার আদরের সন্তান বাবার হাতে খুন হয়েছে। আমি এ ঘটনার বিচার দাবি করি।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান মিয়া বলেন, সংবাদ পেয়েই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ঘাতক পিতাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ