আগামীকাল থেকে খুলনা
কুষ্টিয়ায় ৭ দিনের লকডাউন শুরু
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২১ জুন ২০২১, ১১:০৮ AM , আপডেট: ২১ জুন ২০২১, ১২:০০ PM
কুষ্টিয়ায় করোনার সংক্রমণ রোধে সাত দিনের লকডাউন ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। রবিবার (২০ জুন) রাত সোয়া ৮টার দিকে জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। এছাড়া করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে খুলনা জেলা ও মহানগরে আগামীকাল থেকে সাত দিনের কঠোর লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।
কুষ্টিয়া: গতকাল বিকালে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত করোনা প্রতিরোধ বিষয়ক সভায় লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম বলেন, জেলায় করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। সংক্রমণ রোধে সাত দিনের লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সব ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, শিল্প-কারখানা, শপিংমল, দোকান, রেস্টুরেন্ট ও চায়ের দোকান বন্ধ থাকবে। তবে কাঁচাবাজার ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা রাখা যাবে। পর্যটনকেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ থাকবে। আন্তঃজেলা ও দূরপাল্লার সব ধরনের পরিবহন বন্ধ থাকবে। লকডাউন না মানলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ পর্যন্ত কুষ্টিয়া জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬ হাজার ১৭৫ জন। এর মধ্যে ১৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।
খুলনা: আগামীকাল ২২ জুন থেকে ২৮ জুন পর্যন্ত লকডাউন কার্যকর থাকবে খুলনায়। শনিবার দুপুরে জেলা করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ কমিটির এক বৈঠকে ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। লকডাউনের সময় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য, কাঁচামাল ও ওষুধ বহনকারী যানবাহন ছাড়া কোনো গণপরিবহন খুলনায় প্রবেশ করতে বা বের হতে পারবে না।
জেলা প্রশাসক জানান, খুলনা জেনারেল হাসপাতালকে ৭০ শয্যার করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে রূপান্তর করা হয়েছে। এটি রোববার থেকে চালু হয়েছে। করোনা শনাক্তে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানো হবে। সপ্তাহব্যাপী কঠোর বিধিনিষেধ চলাকালে নগরে জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে ওয়ার্ডভিত্তিক কমিটির মাধ্যমে বিধিনিষেধ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা হবে। কঠোর ‘লকডাউন’ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য অতিশিগগিরই গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সবাইকে অবহিত করা হবে। মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা আদায়, স্বাস্থ্যবিধি পালনে মনিটরিং জোরদার করা এবং প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের না হতে প্রচার-প্রচারণা চলমান থাকবে।
সভায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মো. কামাল হোসেন, খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মো. ইসমাইল হোসেন, বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তরের পরিচালক ডা. রাশেদা সুলতানা ও সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ অনলাইনে যুক্ত ছিলেন।