বাংলাদেশ ও সিনোফার্মের টিকা নিয়ে কোনো চুক্তিই হয়নি: চীনা কর্মকর্তা
বাংলাদেশ যখন করোনা ভ্যাকসিনের সংকটের মুখে তখন আশার আলো হয়ে সামনে আসে চীনের প্রতিষ্ঠান সিনোফার্মের টিকা। কিন্তু সেই টিকা হাতে পাওয়ার আগেই দেশজুড়ে শুরু হয়েছে তুমুল আলোচনা সমালোচনা। শর্ত ভেঙে চীনা টিকার দাম প্রকাশ নিয়ে বাংলাদেশকে ক্ষমা চাইতে হয়েছে, এই তথ্যের পর পরই সামনে এলো নতুন তথ্য।
ঢাকায় চীনের দূতাবাসের এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, টিকার ব্যাপারে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ ও সিনোফার্মের মধ্যে কোনো চুক্তিই হয়নি। এ ব্যাপারে চীনা দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন হুয়ালং ইয়ান শনিবার (৫ জুন) সকালে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে এ কথা জানান।
চীনা টিকা নিয়ে বাংলাদেশের সাথে চুক্তি ও টিকার দাম প্রকাশ নিয়ে চলমান এত সব আলোচনাকে অসত্য আখ্যা দিয়ে হুয়ালং ইয়ান তার পোস্টে বলেন, ‘গণমাধ্যমে যা প্রকাশ পাচ্ছে তা যদি সঠিক হয়, তাহলে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কেন মিথ্যা তথ্য দেয়া হচ্ছে। অবাক লাগছে! গতকাল পর্যন্ত চীনা প্রতিষ্ঠান সিনোফার্মের সঙ্গে বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কোনো চুক্তি হয়নি। এটি বাংলাদেশ ও সিনোফার্মের মধ্যকার একটি বাণিজ্যিক ক্রয় সংক্রান্ত সমঝোতা, চীন সরকারের সঙ্গে কিছু নয়। তিনি আরো জানান, বাণিজ্যিকভাবে টিকা কেনার বিষয়ে চীন সরকারের সঙ্গে নয়, বরং সিনোফার্মের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনা চলছে।
পড়ুনঃ শুধু টিকা দিয়ে করোনা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
উল্লেখ্য, গত ২৭ মে মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে চীন থেকে সিনোফার্মের করোনা টিকার দেড় কোটি ডোজ কেনার প্রস্তাব অনুমোদন হয়। সরকার এ টিকার প্রতি ডোজ ১০ ডলারে কিনতে যাচ্ছে বলে বৈঠকের পর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক কর্মকর্তা সাংবাদিকদের জানান। কিন্তু তারপরে এ দাম জানানো নিয়ে তুমুল আলোচনা শুরু হয়। দায়িত্বপ্রাপ্তদের পক্ষ থেকে বলা হয়, টিকা নেয়ার চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করে এর দাম প্রকাশ করে দেয়া হয়েছে। শুক্রবার (৪ জুন) পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনও একটি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা চীনা রাষ্ট্রদূতের কাছে এ বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছি। তবে এ ঘটনায় আমাদের অবস্থান খানিকটা খারাপ হয়েছে।’