বড় সুখবর পেলেন এমপিও প্রত্যাশীরা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৫ জুন ২০২১, ০৯:০১ AM , আপডেট: ০৫ জুন ২০২১, ০৯:১৪ AM
সদ্য ঘোষিত ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির জন্য মোটা অংকের অর্থ বরাদ্দ চেয়েছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এর বিপরীতে আগেই বরাদ্দ সিলিং করে দিয়েছিল অর্থ মন্ত্রণালয়। ওই বরাদ্দ থেকে অন্তত ৩০০ কোটি টাকা নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করার জন্য ব্যয় করতে পারবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
গত বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে সিলিং বরাদ্দ বাজেট বক্তব্যে উত্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। সদ্য ঘোষিত প্রস্তাবিত বাজেটে শিক্ষা খাতে ৭১ হাজার ৯৫৩ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। আগের বছরের তুলনায় বরাদ্দ বাড়ছে ৫ হাজার ৭৪৬ কোটি টাকা। এমপিও খাতে বরাদ্দ থাকায় এবারও বেশ কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিগগিরই সুখবর পাবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন।
অর্থমন্ত্রী তার বাজেট বক্তব্যে বলেছেন, ২০২০-২১ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে শিক্ষা খাতে বরাদ্দের পরিমাণ ছিল ৬৬ হাজার ২০৭ কোটি টাকা। এ হিসেবে শিক্ষা খাতে বরাদ্দ বেড়েছে পাঁচ হাজার ৭৪৬ কোটি টাকা। আর শতাংশের হিসাবে শিক্ষায় বরাদ্দ বেড়েছে আট দশমিক ৬৭ শতাংশ। এবার ছয় লাখ তিন হাজার ৬৮১ কোটি টাকার জাতীয় বাজেট ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করতে প্রথমে ২০০ কোটি টাকা সিলিং করা হয়েছিল। পরে তা বাড়ানো হয়। অন্যান্য খাত থেকেও এমপিওভুক্তির সুযোগ রয়েছে। সব মিলিয়ে অন্তত ৩০০ কোটি টাকা বরাদ্দ থাকবে এমপিওভুক্তির জন্য। এবার ৬০০ থেকে ৮০০ নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির টার্গেট নিয়ে বরাদ্দ চেয়েছিল মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ।
এ প্রসঙ্গে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে চাই আমরা। নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির জন্য বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। রিভাইজ বাজেটেও বরাদ্দ চাইবো।’
জানতে চাইলে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিবের পিএস উপ-সচিব মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ এমপিওভুক্তির জন্য ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়েছিল। তবে ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
উল্লেখ্য সর্বশেষ ২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর বড় পরিসরে দুই হাজার ৭৩০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। পরে ১২ নভেম্বর ছয়টি ও ১৪ নভেম্বর একটি প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হয়। এর মধ্যে শর্ত পূরণ না করতে পারায় দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির তালিকা থেকে বাদ পড়ে যায়।