০৫ জুন ২০২১, ০৮:১৩

লকডাউন শেষ হচ্ছে কাল, জোরালো হচ্ছে আঞ্চলিক কঠোরতা

আরও এক দফা বাড়ানো হতে পারে লকডাউন  © ফাইল ফটো

দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে না আসায় চলমান বিধিনিষেধ (লকডাউন) আরও এক সপ্তাহ বাড়ানো হয়েছিল। গত ৩০ মে’র ওই ঘোষণা অনুযায়ী ৬ জুন পর্যন্ত বিধিনিষেধ বহাল থাকবে। এই সময়সীমাও আগামীকাল রোববার (৬ জুন) রাতে শেষ হবে। এরপর কী হবে তা এখনও জানা যায়নি। তবে বিভিন্ন অঞ্চলে কঠোর লকডাউন দেওয়া শুরু হয়েছে। 

গত ৩০ মে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে লকডাউন দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী আগামীকাল মধ্যরাত পর্যন্ত বিধিনিষেধ থাকার কথা। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকার চলতি বছর প্রথমে ৫ এপ্রিল থেকে সাত দিনের জন্য গণপরিবহন চলাচলসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ জারি করেছিল। পরে তা আরও দুদিন বাড়ানো হয়।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত আরও কঠোর বিধিনিষেধ দিয়ে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ শুরু হয়। পরে তা কয়েক দফা বাড়িয়ে ৬ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত বাড়ানো হয়। এখন জল্পনা শুরু হয়েছে, রোববারের পর আর বাড়ানো হবে কিনা লকডাউন। যদিও সরকারিভাবে এ বিষয়ে এখনও কিছু জানানো হয়নি। তবে আজ সরকারি ছুটির দিন হওয়ায় আগামীকাল রোববার নতুন করে লকডাউনের বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এদিকে সারাদেশসহ কয়েকটি এলাকায় আশঙ্কাজনহারে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় নোয়াখালী সদর উপজেলার পৌরসভাসহ ছয়টি ইউনিয়ন আজ শনিবার (৫ জুন) লকডাউন ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। জেলায় এক সপ্তাহে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৫৮৯ জনের। এরমধ্যে মারা গেছেন চার জন।

সীমান্তবর্তী জেলা সাতক্ষীরায়ও আজ রোববার থেকে লকডাউন শুরু হচ্ছে। আগামী ১১ জুন পর্যন্ত এই লকডাউন চলবে। এ ছাড়া বাগেরহাট জেলায় দ্রুত বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। এ পরিস্থিতে জেলার করোনাভাইরাস প্রতিরোধ সংক্রান্ত মনিটরিং কমিটি জনসচেতনতা বাড়াতে মাইকিং, লিফলেট ও মাস্ক বিতরণসহ প্রচারণা চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

অপরদিকে নওগাঁ পৌরসভায় লকডাউন থাকায় বাস কাউন্টার বন্ধ রয়েছে। তবে শহর থেকে দুই কিলোমিটার দূরে বগুড়ার সান্তাহারের পাশে পশ্চিম ঢাকা রোড থেকে চলছে দূরপাল্লার বাস। ফলে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ওই এলাকায় নজরদারি বাড়ানো প্রয়োজন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

খুলনা জেলার চার থানায় শুক্রবার (৪ জুন) থেকে এক সপ্তাহের কঠোর বিধিনিষেধ শুরু হয়েছে, চলবে ১০ জুন পর্যন্ত। থানাগুলোর মধ্যে রয়েছে খুলনা সদর, রূপসা, সোনাডাঙ্গা ও খালিশপুর। এ ছাড়া আরও কয়েকটি এলাকায় সংক্রম বৃদ্ধি পাওয়ায় আঞ্চলিক লকডাউন আরও জোরালো করা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।