শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটিসহ আজ যেসব ঘোষণা দিতে পারেন শিক্ষামন্ত্রী
করোনাভাইরাসের কারণে প্রায় ১৫ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে দেশের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে শুরু হওয়া এই ছুটির কারণে স্থবির হয়ে গেছে স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম। সর্বশেষ দফায় এ ছুটি আগামী ২৯ মে পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। এ ছুটি আরও বাড়ানোর ঘোষণা দিতে পারেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। আজ বুধাবার (২৬ মে) সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা আসতে পারে।
যদিও এ পরিস্থিতিতে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন শিক্ষার্থীরা। তারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছেন। এই আন্দোলনের মধ্যেই আজকের সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। জানা গেছে, শিক্ষা ব্যবস্থার ক্ষতি বিবেচনায় এবং করোনা সংক্রমণের হার কমে আসায় বিভিন্ন অঞ্চলভিত্তিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কম সংক্রমণের জেলা ও উপজেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো এক্ষেত্রে প্রাধান্য দেওয়া হতে পারে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা এবং পরীক্ষাগুলো নেওয়ার বিষয়ে শিক্ষাবোর্ড, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর ও ইউজিসির কাছে তথ্য ও প্রস্তাবনা চাওয়া হয়েছিল। সে প্রস্তাব পাওয়ার পর যাচাই-বাছাই করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে মঙ্গলবার (২৫ মে) কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী। এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আজ বুধবার সংবাদ সম্মেলনে জানাবেন তিনি। দুপুর ১২টায় এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
সূত্র আরো জানায়, সংবাদ সম্মেলনে চলতি বছরের এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের সংক্ষিপ্ত সিলেবাস শেষে তিন মাস পর পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হতে পারে। যদিও মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর এবং শিক্ষাবোর্ডের প্রস্তাবনা অনুযায়ী তাদের ৬০ দিন এবং ৮০ দিন ক্লাসে পড়িয়ে তারপর পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত বহাল রয়েছে। তবে পরীক্ষার সময় পিছিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।
আজ সংবাদ সম্মেলনে আসছেন শিক্ষামন্ত্রী
এ ছাড়া জুনের মাঝামাঝি এই দুই স্তরের ক্লাস শুরুর ঘোষণা আসতে পারে। পাশাপাশি ২০২২ সালের এসএসসি ও এইচএসসির জন্য সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের সার সংক্ষেপ শিক্ষামন্ত্রী জানাতে পারেন। চলতি বছর অটোপাস দেওয়া হবে না বলে আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। সে বিষয়েও কথা বলতে পারেন মন্ত্রী।
জানা গেছে, প্রস্তাবনার মধ্যে ৬০ ও ৮০ দিন ক্লাসে পড়িয়ে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত বহাল রয়েছে। তবে পরীক্ষার সময় তিন মাস পেছানোর প্রস্তাবনা রয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে অঞ্চলভিত্তিক গুরুত্ব দেওয়ার প্রস্তাব রয়েছে। এ ছাড়া পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিনের আওতায় এনে ক্লাসে ফেরানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয়ক ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নেহাল আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এবার এসএসসি-এইচএসসিতে অটোপাস দেওয়া হবে না। প্রয়োজনে আরও তিন মাস পরীক্ষা পেছাবে। করোনা পরিস্থিতিতে বিশ্বের কোনো দেশে পরীক্ষা হয়নি। আমরা পরীক্ষা নেওয়ার পক্ষে। সেজন্য পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি।’
অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবে কি না, শিক্ষামন্ত্রী বলতে পারবেন। স্থগিত পরীক্ষাগুলো নেওয়ার বিষয়ে মতামত দিয়েছি। মন্ত্রণালয় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।