২৪ মে ২০২১, ১৮:৩৮

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়াসহ ছাত্র ইউনিয়নের ৮ দাবি

ছাত্র ইউনিয়ন  © লোগো

করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে এক বছরের বেশি সময় ধরে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এ অবস্থায় স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলাসহ ৮টি দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন। আজ সোমবার (২৪ মে) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব দাবির কথা জানানো হয়।

তাদের দাবিসমূহ হল:

১) অবিলম্বে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে হবে।

২) সকল শিক্ষার্থীর ভ্যাকসিন প্রাপ্যতা নিশ্চিত এবং হেলথ কার্ড চালু করতে হবে।

৩) প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধ করতে শিক্ষার্থীদের জন্য পারিবারিক রেশন ব্যবস্থা চালু এবং উপবৃত্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

৪) সেশনজট রোধে শিক্ষাবিদদের নিয়ে টাস্কফোর্স গঠন করে রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে।

৫) শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট নিরসনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে এবং সরকারিভাবে সকল শিক্ষার্থীর জন্য ন্যূনতম ৩ হাজার টাকা আবাসন সহযোগিতা দিতে হবে।

৬) সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের টিউশন ফি মওকুফ করতে হবে।

৭) শিক্ষকদের জন্য সরকারি প্রণোদনা দিতে হবে।

৮) শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মানসিক সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতের লক্ষ্যে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কনসাল্টেশন ব্যবস্থা করতে হবে।

বিজ্ঞপ্তি বলা হয়, সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য যে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো রয়েছে সেখানে শিক্ষার্থীরা কোনো ধরনের সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে না, বরঞ্চ তারা একটা বিশাল সেশনজটে পড়েছে।

“আমরা ধারণা করতে পারি যে বর্তমানে সৃষ্ঠ অবস্থার ফলে প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যায়ে প্রায় লাখ লাখ শিক্ষার্থী ঝরে পড়বে এবং মাধ্যমিকেও এই ঝরে পড়ার সংখ্যা একটা বিরাট অংক ধারণ করবে। কিন্তু আমরা লক্ষ্য করেছি সরকারের পক্ষ থেকে এই সকল ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের জন্য কোন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে না।”

বিজ্ঞপ্তি আরও বলা হয়, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যাংক, বাজার, অফিস-আদালত সকল প্রতিষ্ঠান খোলা রয়েছে, কিন্তু কেবলমাত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ করে রাখা হয়েছে। এর ফলে সৃষ্টি হয়েছে এক ভিন্ন সংকটের। দীর্ঘ সময় ধরে শিক্ষার্থীরা বাসার মধ্যে বন্দি থাকার ফলে তারা মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাদের শিক্ষাজীবনের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যেরও অবনতি হচ্ছে। এমনকি এই মহামারির ভেতর শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার হারও বেড়ে গেছে।