স্কুল খোলা না গেলে অনলাইন ও টিভি ক্লাসে জোর
করোনা সংক্রমণের শুরু থেকেই বন্ধ রয়েছে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে টানা ১৫ মাস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও কার্যকরী কোন পদক্ষেপ নিতে পারেনি সরকার। করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে না এলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবেনা এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। কোভিড সংক্রান্ত জাতীয় পরামর্শক কমিটির পরামর্শ অনুযায়ী করোনা সংক্রমণ ৫ শতাংশের কমে না আসা পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে হবে।
এদিকে, স্কুল খোলার আগে শিক্ষার্থীদেরও করোনার টিকা দিতে চায় সরকার। এসব কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কবে খুলবে তা কেউ বলতে পারছে না।
অন্যদিকে, গত একবছরে শিক্ষার্থীদের সিলেবাস অনুযায়ী কোন পড়াশোনা হয়নি। পরীক্ষা ছাড়াই পরবর্তী শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হয়েছে শিক্ষার্থীরা। আবার চলমান শিক্ষাবর্ষও প্রায় অর্ধেক চলে যাচ্ছে। এভাবে করে সময়গুলো চলে গেলেও শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। তাই স্কুল খুলতে দেরি হলে কী হবে, এমন প্রশ্ন এখন সবার। মাউশির কর্মকর্তারা বলছেন, স্কুল খুলতে দেরি হলে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রমে রাখার জন্য অনলাইনের শিক্ষা কার্যক্রমে আরো জোর দেওয়া হবে। বর্তমানে অনলাইন ক্লাস করার ক্ষেত্রে যেসব ঘাটতি, সমস্যা রয়েছে তা দূর করা হবে। এছাড়া রেডিও এবং টেলিভিশনেও পাঠদানের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া হবে। সব শিক্ষার্থী যাতে টেলিভিশনের মাধ্যমে পাঠদান দেখতে পারে, সে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অনলাইন ক্লাস, টিভি ক্লাস এবং অ্যাসাইনমেন্টের প্রতি আরও জোড় দেওয়ার কথা বলেছেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক। তিনি বলেন, করোনা যদি না কমে বা যদি কমেও আমাদের এই তিনটি বিষয় নিশ্চিত করতে হবে। সব শিক্ষার্থী যেন এই কার্যক্রমে অংশ নিতে পারে, সেটা নিশ্চিত করা হবে।
এদিকে, অনলাইন ক্লাসের প্রতি শিক্ষক শিক্ষার্থীদের যে উৎসাহে ভাটা পড়েছে সেটিও মনে করছেন মাউশির কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, অনলাইনে যাতে কারও উৎসাহ না কমে এবং সকলেই যেন অনলাইন কার্যক্রমে অংশ নিতে পারে সেজন্য মাঠ পর্যায়ে সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
গত শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থীদের জন্য যে অ্যাসাইনমেন্ট পদ্ধতি চালু করেছিল তাতে ব্যাপক সাড়া পাওয়া গেছে বলে মনে করছে মাউশি। এ কারণে এই পদ্ধতিও চালু রাখা হবে এবং আরো গুরুত্ব দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তারা।