এক পক্ষ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা চান, অপর পক্ষ বলছেন—ছুটি বাড়ুক
করোনার কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে দেশের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এতে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। সর্বশেষ লকডাউন আরও একদফা বাড়ানোয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটিও বাড়ানো হচ্ছে। তবে এখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে দাবি জোরালো হচ্ছে। এ বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশিষ্টজনদের। তবে অনেকেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার বিপক্ষেও মত দিয়েছেন।
রোববার (২৩ মে) বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস) ‘বিআইডিএস ক্রিটিক্যাল কনভারসেশনস ২০২১, কোভিড-১৯: লিঙ্কিং ইকোনোমিক অ্যান্ড হেলথ কনসার্নস’ শীর্ষক একটি ওয়েবিনারের আয়োজন করে।
এতে শিক্ষা খাত নিয়ে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ তা বক্তব্যে বলেন, করোনার কারণে শিক্ষা খাতে বড় বৈষম্য তৈরি হয়েছে। রোটেশন করে কিংবা গ্রুপ করে হলেও এখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেওয়া উচিত বলে তিনি মনে করেন।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ছে, ঘোষণা আসতে পারে কাল
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয় উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান বলেন, করোনাকালে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চলছে। তবে ইন্টারনেট সুবিধা নেই অনেক শিক্ষার্থীর। অনেকের জন্য ইন্টারনেট খরচ বেশি। এজন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার বিষয়টি ভাবা প্রয়োজন বলে মত তার।
তবে এখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা যাবে না বলে মত প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই কর্মসূচির পলিসি অ্যাডভাইজার আনীর চৌধুরীর। তার বক্তব্য, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে অনেক দিক বিবেচনা করতে হয়। বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ ছোট। এতে করোনা সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা থাকবে। এজন্য এখনই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা ঠিক হবে না বলে মনে করেন তিনি।
বিআইডিএসের মহাপরিচালক ড. বিনায়ক সেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান। বিশেষ অতিথি ছিলেন ড. মসিউর রহমান। গেস্ট অব অনার ছিলেন সিপিডির চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেহমান সোবহান। প্যানেল আলোচক ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা এবং আনীর চৌধুরী।