করোনা স্বাভাবিক থাকলে সামনের সপ্তাহে সব খুলে দিতে পারি : জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৩ মে ২০২১, ০১:৫৫ PM , আপডেট: ২৩ মে ২০২১, ০১:৫৫ PM
মানুষের জীবন-জীবিকা এবং চলাচলে অসুবিধার কথা মাথায় রেখে গণপরিবহন এবং খাবার হোটেল খুলে দেওয়া হয়েছে জানিয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, করোনা বেড়ে গেলে নিজেদের মৃত্যুঝুঁকি থেকে বাঁচানোর জন্য, সুরক্ষার জন্য আমাদের যে কোনো সময় সিদ্ধান্তের পরিবর্তন করতে হবে। যদি স্বাভাবিক থাকে, তাহলে সামনের সপ্তাহে সব খুলে দিতে পারি। এটা নির্মূল করা কঠিন। যারা ভ্যাকসিন নেননি, তারা ঝুঁকির মধ্যে আছেন। এজন্য মাস্ক পরতে হবে।
রোববার (২৩ মে) চলমান বিধিনিষেধ ৩০ মে পর্যন্ত বাড়ানো নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। তবে এসময় স্বাস্থবিধি মেনে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। প্রজ্ঞাপন জারি পর প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের সঙ্গে এসব কথা বলেন।
আরো পড়ুন লকডাউন বাড়ল ৩০ মে পর্যন্ত, আন্ত:জেলার গণপরিবহন চলবে
প্রতিমন্ত্রী বলেন, দীর্ঘদিন গাড়ি বন্ধ থাকার কারণে কাজকর্মে বেশ কিছু সমস্যা হচ্ছে। সব কিছু বিবেচনা করেই আমরা এক সপ্তাহের জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা পর্যবেক্ষণ করছি এবং জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে এ সিদ্ধান্তগুলো নেওয়া হচ্ছে। এটাকে আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে চাই। পাশের দেশে করোনার প্রকোপ সম্পর্কে সবাই বুঝতে পারছে।
ফরহাদ হোসেন বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্য, জীবন-জীবিকা, অর্থনৈতিক দিক, মানুষের জীবনযাত্রার কথা বিবেচনা করে এ সিদ্ধান্ত। যেভাবে করোনার প্রকোপ থাকবে, সেভাবে সিদ্ধান্ত থাকবে। প্রত্যেক মানুষকে সচেতন থাকতে হবে। প্রত্যেককে শতভাগ মাস্ক পরতে হবে। মাস্কের বিষয়টা অবশ্যই কড়াকড়িভাবে দেখছি এবং দেখব।
দূর পাল্লাতে স্বাস্থ্যবিধির অসুবিধা হয় না জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, যারা দূর পাল্লায় চলেন, তারা সবাই সচেতন থাকেন। যে সমস্ত জায়গায় সংক্রমণ বেশি, সেখানে মাস্ক পরার প্রবণতা বাড়ানো যায়, আরও জনসচেতনাতায় জোর দিচ্ছি। মানুষকে সচেতন করাই বড় কথা।
আরো পড়ুন নির্দেশনা পেলেই ট্রেনে যাত্রী পরিবহন শুরু, প্রস্তুত রেলওয়ে