লকডাউন বাড়লেও চলতে পারে দূরপাল্লার বাস
করোনাভাইরাস পরিস্থিতির আরও অবনতি হওয়ায় টানা লকডাউনের মধ্যে রয়েছে দেশ। সর্বশেষ দফার লকডাউন শেষ হচ্ছে আজ রোববার (২৩ মে) মধ্যরাতে। এরপর কী হবে তা নিয়ে চলছে জল্পনা। তবে এ বিধিনিষেধ নিয়েও দোটানায় আছে সরকার। একটি পক্ষ লকডাউন বৃদ্ধির পক্ষে থাকলেও আরেক পক্ষ তুলে দেওয়ার পক্ষে। তবে লকডাউন বাড়লেও গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি দেওয়া হতে পারে।
লকডাউন আরো বাড়বে নাকি তা স্বাভাবিক হবে তা জানা যাবে আজই। আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে। প্রজ্ঞাপন জারি করে লকডাউনের বিষয়ে জানিয়ে দেবে সরকার। একাধিক সূত্র জানিয়েছে, চলমান বিধিনিষেধ আরও সাতদিন বাড়ানোর সুপারিশ করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। সে অনুযায়ী আগামী ৩১ মে পর্যন্ত লকডাউন বহাল থাকতে পারে।
কিন্তু করোনা সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি লকডাউন বাড়ানোর ব্যাপারে কোনো সুপারিশ করেনি। ফলে বিধিনিষেধ আর নাও বাড়তে পারে বলে একটি অংশ মনে করছে। এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার হলে মাস্ক পরা নিশ্চিতে আরও গুরুত্ব দেওয়া হতে পারে। এ ছাড়া স্বাস্থ্যবিধি মানার ওপরই সর্বোচ্চ গুরুত্বারোপ করা হবে।
বিধিনিষেধ বাড়ার বিষয়ে কিছুই জানেন না জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন কর্মকর্তা জানান, লকডাউন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত আসার সম্ভাবনা বেশি। অন্য একটি সূত্র জানায়, চলমান লকডাউনে দূরপাল্লার বাস চলা বন্ধ। এতে সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে রয়েছে। পরিবহন শ্রমিকরাও খারাপ অবস্থায় রয়েছে। সরকারের উচ্চ পর্যায়ে বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া হলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দূরপাল্লার বাসসহ সব ধরনের গণপরিবহন খুলে দেওয়া হতে পারে। এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে।
জানা গেছে, আগে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠকের সিদ্ধান্ত মোতাবেক সারসংক্ষেপ তৈরি হলেও এবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সুপারিশে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সারসংক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন পেলে আজ প্রজ্ঞাপন জারি করা হতে পারে।
যদিও করোনা বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি লকডাউন বাড়ানোর জন্য সুপারিশ করেনি। বরং মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মানায় জোর দিয়েছে।