২৩ মে ২০২১, ০৮:০৪

লকডাউন শেষ হচ্ছে আজ, আর কি বাড়বে?

লকডাউন আরও এক সপ্তাহ বাড়তে পারে  © ফাইল ফটো

করোনাভাইরাস পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় টানা লকডাউনের মধ্যে রয়েছে দেশ। কয়েকদফায় বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সরকার। সর্বশেষ দফার লকডাউন শেষ হচ্ছে আজ রোববার (২৩ মে) মধ্যরাতে। এরপর কী হবে তা নিয়ে চলছে জল্পনা। তবে এ বিধিনিষেধ নিয়েও দোটানায় সরকার। একটি পক্ষ লকডাউন বৃদ্ধির পক্ষে থাকলেও আরেক পক্ষ তুলে দেওয়ার পক্ষে।

তবে লকডাউন আরো বাড়বে নাকি তা স্বাভাবিক হবে তা জানা যাবে আজই। আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে। প্রজ্ঞাপন জারি করে লকডাউনের বিষয়ে জানিয়ে দেবে সরকার। একাধিক সূত্র জানিয়েছে, চলমান বিধিনিষেধ আরও সাতদিন বাড়ানোর সুপারিশ করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। সে অনুযায়ী আগামী ৩১ মে পর্যন্ত লকডাউন বহাল থাকতে পারে।

কিন্তু করোনা সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি লকডাউন বাড়ানোর ব্যাপারে কোনো সুপারিশ করেনি। ফলে বিধিনিষেধ আর নাও বাড়তে পারে বলে একটি অংশ মনে করছে। এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার হলে মাস্ক পরা নিশ্চিতে আরও গুরুত্ব দেওয়া হতে পারে। এ ছাড়া স্বাস্থ্যবিধি মানার ওপরই সর্বোচ্চ গুরুত্বারোপ করা হবে।

জানা গেছে, আগে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠকের সিদ্ধান্ত মোতাবেক সারসংক্ষেপ তৈরি হলেও এবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সুপারিশে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সারসংক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন পেলে আজ প্রজ্ঞাপন জারি করা হতে পারে। 

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একাধিক কর্মকর্তা জানান, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সুপারিশে লকডাউন আরও এক সপ্তাহ বাড়তে পারে। তবে কিছু বিধিনিষেধ শিথিল হবে। যদিও করোনা বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি লকডাউন বাড়ানোর জন্য সুপারিশ করেনি। বরং মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মানায় জোর দিয়েছে।

এদিকে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ ঠেকাতে চলমান এ বিধিনিষেধ বাড়বে কিনা এ বিষয়ে কিছুই বলতে পারেননি জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী মো. ফরহাদ হোসেন। শনিবার (২২ মে) গণমাধ্যমকে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিধিনিষেধ বাড়বে কি না- এ রকম কিছুই বলা যাবে না। আমরা কিছুই বলতে পারছি না। বিষয়গুলো পর্যালোচনা চলছে। প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত দেবেন। এখন সবগুলো বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।’

বিধিনিষেধ বাড়ার বিষয়ে কিছুই জানেন না জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী

এর আগে গত সপ্তাহে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মুখপাত্র নাজমুল ইসলাম বলেছিলেন, ঈদে নিজ নিজ অবস্থানে থাকতে পরামর্শ দিয়েছিল সরকার। কিন্তু বহু মানুষ তা উপেক্ষা করে বাড়ি যাওয়ার চেষ্টা করেছেন। কিছু মর্মান্তিক দৃশ্যও দেখেছি।

তিনি বলেন, যারা বাড়িতে গেছেন তারা এ কয়দিন দেরি করে ফিরবেন। যাদের উপসর্গ দেখা গেছে, তারা আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করিয়ে নেবেন। ফিরে আসার সময় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। ভারত থেকে ফেরা অনেকে আইন অমান্য করছেন বলেও জানান তিনি।