সংবাদপত্রের কণ্ঠরোধের নেতিবাচক মনোভাব থেকে রোজিনাকে গ্রেফতার
সচিবালয়ে কর্তব্য পালন করতে গিয়ে হেনস্তার পর প্রথম আলোর সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে থানায় সোপর্দ, মামলা দায়ের, থানায় রাখা, আদালতে রিমান্ডের আবেদন, জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় উদ্বেগ, ক্ষোভ, নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ। আজ মঙ্গলবার (১৮ মে) এক বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়।
সংগঠনের সভাপতি মাহফুজ আনাম ও সাধারণ সম্পাদক নঈম নিজাম সংগঠনের পক্ষে বিবৃতিটি পাঠিয়েছেন। এতে রোজিনা ইসলামের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করা হয়েছে। পাশাপাশি ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সম্পাদক পরিষদ গভীর উৎকণ্ঠার সঙ্গে লক্ষ্য করছে, ১৯২৩ সালের অফিসিয়াল সিক্রেট অ্যাক্টের আওতায় রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ যুগে একজন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ব্রিটিশ আমলের আইনে মামলা দায়ের সংশ্লিষ্টদের সংবাদপত্রের কণ্ঠরোধের নেতিবাচক মনোভাব ও অশুভ মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ। যা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্বের চেষ্টা।
পাশাপাশি আগামী দিনের স্বাধীন সাংবাদিকতা ও মত প্রকাশের জন্য হুমকি উল্লেখ করে তারা বলেন, একটি গণতান্ত্রিক সমাজে এ ধরনের হীন চেষ্টা সংবাদপত্রের অস্তিত্বকে হুমকির দিকে ঠেলে দেয়। এ ছাড়া পেশাকে চ্যালেঞ্জের দিকে নিয়ে যায়।
সম্পাদক পরিষদের বিবৃতিতে বলা হয়, এই নজিরবিহীন ঘটনা বাংলাদেশের সাংবাদিকতার ইতিহাসে কালো অধ্যায় হয়ে থাকবে। রোজিনা ইসলামকে সচিবালয়ে প্রায় ৬ ঘণ্টা একটি কক্ষে জিম্মি করে রাখা, বিভিন্নভাবে হেনস্তা করার ঘটনা শুধু দুঃখজনক নয়। এর সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। কোন আইনে সাংবাদিককে এভাবে আটকে রাখা হলো নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে বের করতে হবে। এ ঘচনায় দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহবান জানিয়েছেন তারা।