রোজিনাকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ জানালেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতার শিক্ষকেরা

সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে সোমবার রাতে সচিবালয় থেকে থানায় নেওয়া হয়
সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে সোমবার রাতে সচিবালয় থেকে থানায় নেওয়া হয়  © ফাইল ফটো

সচিবালয়ে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে হেনস্তা করায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগগুলোর শিক্ষকদের সংগঠন মিডিয়া এডুকেটরস নেটওয়ার্ক। আজ মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে তারা এই নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়।

বিবৃতিতে শিক্ষকদের এই প্ল্যাটফর্মের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে হেনস্তা ও পরবর্তী সময়ে মামলা দিয়ে হয়রানির সংবাদে শিক্ষকেরা ক্ষুব্ধ, হতবাক, ব্যথিত ও মর্মাহত।

একজন পেশাদার সাংবাদিকের সঙ্গে এ ধরনের অমানবিক ও অপেশাদারি আচরণের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তাঁরা।

আরও পড়ুন: স্বেচ্ছায় কারাবরণ করতে চান ১১ সাংবাদিক

বিবৃতিতে বলা হয়, বর্তমান করোনা পরিস্থিতিকে কাটিয়ে ওঠার জন্য সরকার যে কৌশল ও পদক্ষেপের মাধ্যমে কাজ করে যাচ্ছে, সেখানে কিছু কর্মকর্তা ও কর্মচারীর দুর্নীতি সেই অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করছে। রোজিনা ইসলাম সেই সব অপরাধের সংবাদ প্রকাশ করে জাতির সার্বিক কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন।

শিক্ষকেরা বিবৃতিতে বলেন, রোজিনাকে সচিবালয়ে আটকে রেখে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেছেন এবং তাঁর অনুমতিবিহীন ছবি-ভিডিও তুলে সামাজিকভাবে তাঁকে হেয় করার চেষ্টা করেছেন। তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লেও তাঁকে দ্রুত চিকিৎসা দেওয়ার মানবিকতাও দেখানো হয়নি। এ ছাড়া তাঁকে মামলা দিয়ে আরেক দফা হয়রানি করা হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক ও সাবেক প্রধান তথ্য কমিশনার অধ্যাপক গোলাম রহমান, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষক শেখ শফিউল ইসলাম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মাধব দীপ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মামুন আ. কাইউম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক উজ্জ্বল কুমার মণ্ডল ও শেখ আদনান ফাহাদ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রাজীব নন্দী, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কাজী এম. আনিছুল ইসলাম, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সারা মনামি হোসেন, স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির শিক্ষক তপন মাহমুদ লিমন প্রমুখ বিবৃতিদাতাদের মধ্যে রয়েছেন।


সর্বশেষ সংবাদ