আন্তর্জাতিক মানের প্রকল্প বাস্তবায়নে গাছ কাটা হচ্ছে: মন্ত্রী
রাজধানীর ফুসফুস খ্যাত ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গাছ কেটে চলছে উন্নয়নকাজ। উদ্যানে ওয়াকওয়ে ও সাতটি ফুড কর্নার বানানোর জন্য ইতিমধ্যে কাটা হয়েছে ৪০-৫০টি গাছ। আন্তর্জাতিক মানের প্রকল্প বাস্তবায়নে এসব গাছ কাটা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
এদিকে, প্রায় অর্ধশত বছরের পুরোনো এই গাছ কাটা নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে বিতর্ক, চলছে আলোচনা-সমালোচনা। প্রতিদিনই উদ্যানের গাছ কাটার বিরুদ্ধে হচ্ছে প্রতিবাদ। উদ্যানের গাছ কাটা বন্ধে ইতিমধ্যে সরকারকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, রেস্টুরেন্ট বা দোকান নির্মাণের নামে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষাকারী এই উদ্যানের গাছ কাটার কোনো সুযোগ নেই। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এ কার্যক্রম বন্ধ করা না হলে হাইকোর্টে আদালত অবমাননার মামলা করা হবে।
নগর পরিকল্পনাবিদরা বলছেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গাছ কাটায় মারাত্মক হুমকির মুখে পড়বে রাজধানীর পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যা।
নগর পরিকল্পনাবিদ ইকবাল হাবিব বলেন, নগরীর ফুসফুসে যারা করোনার মতো আঘাত করে চলেছেন, ১৫-৪০ বছর পুরানো গাছগুলো যারা নির্বিচারে কাটছেন তারা অবশ্যই দুর্বৃত্তসুলভ আচরণের জন্য দায়ী। তাদের কঠোরভাবে অনুশাসনে আনা প্রয়োজন। সৌন্দর্যবর্ধন বৃক্ষরোপনের মধ্যে নিহিত, নিধনের মধ্যে নয়।
তবে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক গণমাধ্যমকে বলেছেন, এটা তো বন না। আন্তর্জাতিকমানের স্থাপনা হচ্ছে এখানে। বিদেশিরা আসবে, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্নগুলো দেখবে। সারা মাঠভরা সেখানে বিভিন্ন স্থাপনা হবে। মুক্তিযুদ্ধের সুতিকাগার সোহরওয়ার্দী উদ্যানকে আন্তর্জাতিক মানে গড়ে তুলতে কিছু কিছু বৃক্ষ কাটা হচ্ছে।