ঈদে কি বাড়ি যাওয়া যাবে?
ঈদে বাড়ি ফেরা নিয়ে গত বছরের মতো এবারও জনমনে প্রশ্ন ও শঙ্কা দেখা দিয়েছে। সোমবারের সর্বশেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ১৬ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে লকডাউন। ৬ মে থেকে জেলার মধ্যে গণপরিবহন চললেও আন্তঃজেলা গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। এছাড়া ট্রেন ও লঞ্চ বন্ধ থাকবে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে এ কথা জানান।
এদিকে ঈদের সময় রাজধানীসহ বিভিন্ন শহরবাসী মানুষের গ্রামে ফেরা বাঙালির ঐতিহ্য। কিন্তু গত বছর থেকেই সেই ঐতিহ্যে বাধ সেধেছে করোনা মহামারি। আজও সারাদেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৬৫ জনের। সারাদেশে মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৬৩ হাজার ৬৮২ জন। তাই নগরে থাকা মানুষের জানতে চাওয়া- তবে কি এবারের ঈদেও বাড়ি ফেরা হবে না?
যদিও এর ব্যাখ্যা ইতোমধ্যেই দিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব। জানিয়েছেন, ‘সিদ্ধান্ত হয়েছে লকডাউন যেটা আছে সেটা ১৬ মে পর্যন্ত এভাবেই কন্টিনিউ করবে। ৬ মে থেকে গণপরিবহন জেলার মধ্যে চলাচল করতে পারবে। আন্তঃজেলা বাস চলাচল করতে পারবে না। ঢাকার বাস ঢাকার মধ্যে চলাচল করবে। এছাড়া লঞ্চ ও ট্রেন বন্ধ থাকবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘গণপরিবহন মালিকরা আমাদের কথা দিয়েছেন, কোনভাবেই গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন করা হবে না। লঙ্ঘন করা হলে বন্ধ করে দেয়া হবে। সেই নির্দেশনাও দেয়া আছে। সেটা আমরা দেখব।’
আগামী ১৪ মে শুক্রবার হতে পারে ঈদ-উল ফিতর; আর সেই উপলক্ষ্যে মানুষের বাড়ি যাওয়া ঠেকাতে ঈদে বন্ধ না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ঈদের ছুটি তিনদিন এর মধ্যে দুটি পড়েছে শুক্র ও শনিবার। শিল্পকারখানাও এই সময়ে বন্ধ দিতে পারবে না।
সরকারি কর্তৃপক্ষের নির্দেশে যে এবারও ঈদে বাড়ি যাওয়া সম্ভব হবে না; আপাতত সেই ইঙ্গিতই পাওয়া যাচ্ছে।
সরকারের দায়িত্বশীল সূত্রের বক্তব্য, স্বাস্থ্যবিধি মেনে ৬ মে থেকে গণপরিবহন চলাচল করলেও ঈদের সময় তা অব্যাহত থাকলে করোনা সংক্রমণের ক্ষেত্রে বড় ধরনের ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। চলাচলের সুযোগ করে দিলেও অনেক ক্ষেত্রে সম্ভব হবে না স্বাস্থ্যবিধি মানা। তাই যতটা সম্ভব চলাচল নিয়ন্ত্রণ নিয়েই ভাবছে সরকার। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কী- তা জানতে আরেকটু অপেক্ষা করতে হবে জানিয়েছেন সরকারের শীর্ষমহল।