হুমকি দেওয়া হচ্ছে মুনিয়ার পরিবারকে, নিরাপত্তা দেওয়ার দাবি

বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীরের সঙ্গে মুনিয়া এবং আইনজীবী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান
বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীরের সঙ্গে মুনিয়া এবং আইনজীবী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান  © ফাইল ফটো

গুলশানের ফ্ল্যাটে নিহত মোসারাত জাহান মুনিয়ার পরিবারকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা প্রদানের দাবি জানিয়েছেন পরিবেশবিদ ও আইনজীবী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। ডয়চে ভেলের ‘খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়’ ইউটিউব টকশোতে তিনি এ দাবি জানান। ‘গুলশানে তরুণীর অপমৃত্যু ও গণমাধ্যম’ শিরোনামের এ আলোচনায় আরো উপস্থিত ছিলেন বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল গাজী টেলিভিশনের এডিটর ইন চিফ সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা।

আইনজীবী রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘কয়েক দিনের পত্রপত্রিকা পড়ে মনে হয়েছে যে, সঠিক বিচার এবং সঠিক তদন্তের জন্য এটা জরুরি হয়ে পড়েছে যে, এই মেয়েটির পরিবার যেন নিরাপত্তা পায়। কারণ, তাদেরকে নানানভাবে ফোনে ও অন্যভাবে হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে তারা বলছেন। কাজেই সরকারের কাছে মামলা পরিচালনার ক্ষেত্রে স্বচ্ছতার পাশাপাশি এ পরিবারের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবিটাও কিন্তু আমার থাকবে।’

গত সোমবার গুলশানের একটি ফ্ল্যাট থেকে কলেজছাত্রী মোসারাত জাহান মুনিয়ার সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে নিহতের বড় বোন নুসরাত জাহান মামলা দায়ের করেন। সেখানে অভিযোগ করা হয়, শিল্পপতি এবং বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীরের সাথে মুনিয়ার সম্পর্ক ছিল। সায়েম সোবহানই তাকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিয়েছেন।

ঘটনার পর এ বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে যথেষ্ট পেশাদারিত্বের পরিচয় প্রকাশ পেয়েছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা বলেন, বাংলাদেশে গণমাধ্যম যেভাবে অভিযুক্তের নাম প্রকাশ না করার চেষ্টা করেছে, যেভাবে শিল্পপতি বলে বিষয়টিকে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে, তা সাংবাদিকতার নীতিমালার সাথে যায় না। এ কারণে বাংলাদেশের গণমাধ্যম কাঠগড়ায় দাঁড়িয়েছে।

তিনি জানান, এজহারে নাম আসার পরও, কিংবা পুলিশ কর্মকর্তা ব্রিফিংয়ে নাম উল্লেখ করার পরও গণমাধ্যমে তা প্রকাশিত না হওয়ার বিষয়টি পেশাদারিত্বের জায়গা থেকে ঠিক হয়নি।

এদিকে ঘটনার পর নিহতের বিভিন্ন ব্যক্তিগত বিষয় কীভাবে সামাজিকমাধ্যমে প্রকাশিত হয় জানতে চাইলে আইনজীবী রিজওয়ানা হাসান বলেন, তদন্ত চলছে এমন একটি বিষয়ে ‘রগরগা কথা’ বলার প্রয়োজন নেই। পুলিশের নিজেরই এমন বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। এগুলো তদন্তের আলামত। ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষের এ বিষয়ে নজর দেওয়া উচিত।


সর্বশেষ সংবাদ