ঈদের আগে এক আসন খালি রেখে চলতে পারে গণপরিবহন
করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সর্বশেষ দফায় আগামী ৫ মে পর্যন্ত বিধিনিষেধ দিয়েছে সরকার। এ সময়ে জরুরি সেবা ছাড়া সরকারি-বেসরকারি অফিস, গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে। এ পরিস্থিতি ঈদে ঘরমুঘো মানুষ রয়েছেন অনিশ্চয়তা। তবে গণপরিবহন ও আন্তঃজেলা বাস চলাচল নিয়ে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করছে সরকার। সরকারের সংশ্নিষ্ট দায়িত্বশীল সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
লকডাউনে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন গণপরিবহন শ্রমিকরা। জানা গেছে, গত ২৯ এপ্রিল থেকে গণপরিবহন চালু করার চিন্তা ছিল সরকারের। কিন্তু পরে সে চিন্তা বাদ দেওয়া হয়েছে সরকার। তবে আগামী এক সপ্তাহে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে গণপরিবহন চালুর চিন্তা রয়েছে সরকারের।
বিধিনিষেধ সত্ত্বেও এখন মানুষ বাইরে বের হচ্ছে। এছাড়া প্রাইভেট কারে করে সারাদেশে যাতায়াত করছে। সেজন্য পরিস্থিতির উন্নতি হলে এক আসন খালি রেখে গণপরিবহন চালুর সিদ্ধান্ত দিতে পারে সরকার। ৫ মে’র আগেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয়া হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে ঈদের আগে সরকারি অফিস খোলা যাবে তিনদিন। তবে এ তিনদিন আর অফিস খুলতে চায় না সরকার। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৩ বা ১৪ মে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে সারাদেশে। সে হিসেবে ঈদের ছুটি শুরু হবে ১২ মে থেকে। ৫ মে লকডাউনের মেয়াদ শেষে ছুটির আগে কর্মদিবস পাওয়া যাবে ৬, ৯ ও ১১ মে। বাকি দিনগুলোর মধ্যে ৭ ও ৮ মে হচ্ছে শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি।
১০ মে হচ্ছে শবেকদরের ছুটি। এছাড়া রমজান ২৯ দিনের হলে ঈদুল ফিতর হবে আগামী ১৩ মে। তবে রমজান ৩০ দিন হলে ছুটি আরও এক দিন বাড়বে, সেক্ষেত্রে ১৫ মে ছুটি থাকবে। এ অবস্থায় লকডাউন ঈদের ছুটি পর্যন্ত গড়াবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, করোনাভা সংক্রমণ রোধে ঈদের আগে সরকারি অফিস, আদালত না খোলার কথা ভাবছে সরকার।
এ প্রসঙ্গে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, আগামী ৫ মের পর কী হবে তা নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে। তবে কোনো কিছুই চূড়ান্ত নয়। পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে পরবর্তী পদক্ষেপ। ভারতের পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে করণীয় ঠিক করতে হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।