হাসপাতালে কেমন আছেন খালেদা জিয়া?
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) রাতে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খালেদা জিয়াকে আকস্মিকভাবে হাসপাতালে ভর্তি করার খবরে বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়। মঙ্গলবার রাতে বিএনপি নেত্রীকে সাড়ে ৯টার দিকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় কিছু শারীরিক পরীক্ষা করানোর জন্য। এরপর তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
গত ২৫ এপ্রিল খালেদা জিয়ার দ্বিতীয়বারের মতো কোভিড ১৯ পরীক্ষা করা হলে সেখানেও তার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। মঙ্গলবার রাতে খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর পরে তাঁর চিকিৎসক দলের প্রধান অধ্যাপক এফ এম সিদ্দিকী সাংবাদিকদের বলেন, খালেদা জিয়া করোনা আক্রান্ত হবার পর ১৯ দিন অতিবাহিত হয়েছে।
চিকিৎসক অধ্যাপক সিদ্দিকী বলেন, ‘ওনার খুব ভালো রিকভারি হয়েছে। সেটা দেখতে চাচ্ছিলাম যে কেমন আছে। এর পাশাপাশি আমরা আরো কিছু ইনভেস্টিগেশন করতে চাই। আজকে যেহেতু এখানে রাত হয়ে গেছে অনেক এবং সব ইনভেস্টিগেশন একসাথে করা অনেক জটিল এবং কষ্ট। সব ফ্যাসিলিটিজ এখন ছিল না।’
তিনি বলেন, ‘আমরা কিছু ইনভেস্টিগেশন করেছি এবং ওনাকে আমরা টেম্পোরারি একটা এডমিশন দিয়ে রেখেছি এই কারণে যে আমাদের আরো কিছু পরীক্ষা বাকি রয়ে গেছে। সে টেস্টগুলো আমরা করবো। সেই টেস্টের রিপোর্ট রিভিউ করে আমরা আবার ওনাকে ইনশাআল্লাহ বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যাবো।’
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হবার পরে গত ১৪ এপ্রিল এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়ার ফুসফুসের সিটি স্ক্যান করা হয়। তখন চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন যে খালেদা জিয়ার ফুসফুসে ভাইরাসের সংক্রমণ ন্যূনতম।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসক অধ্যাপক এফ এম সিদ্দিকীর কাছে সাংবাদিকরা জানতে চান, খালেদা জিয়ার ফুসফুসের অবস্থা এখন কেমন আছে? এর জবাবে অধ্যাপক সিদ্দিকী বলেন, ‘ফুসফুস খুব সুন্দর ক্লিয়ার আছে।’
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার অংশ হিসাবে গত ১০ এপ্রিল বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া নমুনা দেন। পরদিন ১১ এপ্রিল জানা যায় তিনি কোভিড-১৯ পজিটিভ। খবরটি দলের পক্ষ থেকে প্রথমে অস্বীকার করা হলেও, পরে সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ তথ্য গণমাধ্যমকে জানান। খালেদা জিয়া ছাড়াও তার বাসায় আরো আটজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। এরপর ২০২০ সালের ২৫ মার্চ তাকে ছয় মাসের জন্য নির্বাহী আদেশে মুক্তি দেয়া হয়। পরে ওই বছরের সেপ্টেম্বরে মুক্তির সময় আরও ছয় মাস বাড়ায় সরকার। এ বছরের মার্চে তৃতীয়বারের মতো ছয় মাসের মেয়াদ বাড়ানো হয়।