ঈদে বাড়ি ফেরা যাবে কিনা— আভাস দিলেন ওবায়দুল কাদের
সারাদেশে আরেকদফা সর্বাত্মক লকডাউন বাড়ছে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞাদের পরামর্শক্রমে এই সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে সরকার। ইতোমধ্যেই এ ব্যাপারে চিন্তা-ভাবনা শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সেই সঙ্গে ঈদের বাড়ি ফেরার আভাসও দিয়েছেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ঈদে লকডাউন শিথিলের চিন্তা-ভাবনা চলছে। জীবন ও জীবিকার তাগিদেই সরকার এই সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানান তিনি।
আজ সোমবার নিজ বাসভবন থেকে দেয়া এক ভিডিওবার্তায় এসব কথা বলেন সেতুমন্ত্রী।
তথ্যমতে, লকডাউন বাড়ানোর ব্যাপারে এর আগে আয়োজিত এক ভার্চুয়াল সভায় সিদ্ধান্ত নেয় জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। সভায় করোনার উচ্চ সংক্রমণ ও ক্রমবর্ধমান মৃত্যুতে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পরামর্শক কমিটি দুই সপ্তাহের পূর্ণ লকডাউন সুপারিশ করেছিল। ইতোমধ্যে এক সপ্তাহের লকডাউন দেওয়া করেছে। কমিটি এতে সন্তোষ প্রকাশ করলেও বৈজ্ঞানিকভাবে দুসপ্তাহের কম লকডাউনে কার্যকর ফল আশা করা যায় না বলে উল্লেখ করা হয়।
এদিকে সোমবার সকালে সরেজমিনে রাজধানীর ধানমণ্ডি, আসাদগেট, কলাবাগান এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বেলা বাড়ার সাথে সাথে সড়কে বেড়েছে প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেল, সিএনজি ও রিকশার সংখ্যা। তবে অযথা মানুষের ঘোরাফেরা রোধে এসব এলাকায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ এবং থানার সম্মিলিত চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়েছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মাহফুজ আলম দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, কেউ যেন অপ্রয়োজনে বাহিরে বের না হন বা অযথা ঘোরাফেরা না করেন সেটি আমরা কঠোরভাবে নজরদারি করছি।
তবে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ থাকায় জরুরি প্রয়োজনে বের হওয়া মানুষজনকে পড়তে হচ্ছে বেশ ভোগান্তিতে। স্বল্প কিংবা দীর্ঘ দূরত্বের পথ পাড়ি দিতে নির্ভর করতে হচ্ছে রিকশার উপর। আর এই সুযোগে রিকশাচালকরা অতিরিক্ত ভাড়া হাঁকছেন বলে অভিযোগ সাধারণ মানুষের।