লকডাউন বাড়ানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত আজ

আরও এক সপ্তাহ বাড়তে পারে লকডাউন
আরও এক সপ্তাহ বাড়তে পারে লকডাউন  © ফাইল ফটো

করোনা সংক্রমণ রোধে সাত দিনের লকডাউন চলছে। এ লকডাউন চলবে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত। এরপর কী হবে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আজ সোমবার (১৯ এপ্রিল) সরকারের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের সভা অনুষ্ঠিত হবে। আজ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সভা শেষ হলে জানা যাবে, লকডাউন আর কতদিন চলবে।

জানা গেছে, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় গঠিত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি রবিবার (১৮ এপ্রিল) রাতে জরুরি বৈঠকে বসে। পরে কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ গণমাধ্যমকে বলেন, আরো এক সপ্তাহ লকডাউন দেওয়ার বিষয়ে সরকারকে প্রস্তাব দেবেন তারা। হঠাৎ সব খুলে না দিয়ে ধীরে ধীরে শিথিল করা উচিত বলে তারা মনে করছেন।

আজ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভায়ও বিষয়টি গুরুত্ব পাবে বলে জানা গেছে। এরই মধ্যে প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য খাত থেকেও সময় বাড়ানোর পরামর্শ গেছে। সভায় সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তারা ছাড়াও ব্যবসা খাতের নেতা ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা  উপস্থিত থাকবেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়।

এ প্রসঙ্গে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আখতার হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী, লকডাউন বাড়ানো দরকার। অন্তত আরো এক সপ্তাহ লকডাউন থাকলে পরিস্থিতি বোঝা যাবে বলে মনে করেন তিনি।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, নতুন করে লকডাউনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন। তবে আপাতত আরও এক সপ্তাহ লকডাউন অব্যাহত থাকতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা ইঙ্গিত দিয়েছেন।

সংক্রমণ প্রতিরোধে শুরুতে ১৪ দিনের কঠোর লকডাউন দেওয়াপর পক্ষে ছিলো করোনা সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। তবে আগামী ২১ এপ্রিল পর্যন্ত সাতদিনের লকডাউন দেয় সরকার।

এর আগে ৫ এপ্রিল থেকে ১১ এপ্রিল বিধিনিষেধ দেওয়া হয়। এর মেয়াদ শেষ হলে ১২ ও ১৩ এপ্রিলও তা বহাল রাখা হয়। এরপর কিছুটা কঠোর লকডাউন দেওয়া হয়, যা অব্যাহত রয়েছে।  চলতি লকডাউনে বাইরে যেতে ‘মুভমেন্ট পাস’ নিতে হচ্ছে পুলিশের কাছ থেকে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এবার করোনার ধরন ভয়ঙ্কর। মানুষকে নিরাপদ রাখতে দূরপাল্লার বাস, বিনোদন কেন্দ্র, সামাজিক অনুষ্ঠান বন্ধ রাখা জরুরি। এ অবস্থায় লকডাউন ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত রেখে ঈদকে সামনে রেখে সরকার কিছু বিষয়ে ছাড়া দিতে পারে বলে জানা গেছে।


সর্বশেষ সংবাদ