১২ এপ্রিল ২০২১, ০৯:৫৯

উধাও হওয়া হাসপাতালের ব্যাখ্যা দিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

  © সংগৃহীত

করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে ‘বসুন্ধরায় প্রায় ৩১ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হাসপাতাল উধাও’ হয়ে যাওয়ার খবরটি মিথ্যা বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সোমবার (১২ এপ্রিল) গণমাধ্যমে দেওয়া এক প্রতিবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানান অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম।

বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত কিছু বিভ্রান্তিকর তথ্য অধিদপ্তরের নজরে এসেছে জানিয়ে প্রতিবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনা ও পরামর্শে বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারে আইসোলেশন সেন্টারে রূপান্তরের নির্দেশনা দেওয়া হলে তাৎক্ষণিকভাবে অতি অল্প সময়ের মধ্যে একটি তাবুতে এই আইসোলেশন সেন্টারটি গড়ে তোলা হয়। সেখানে পানি, বিদ্যুৎ ও টয়লেটের ব্যবস্থা এবং আনুষঙ্গিক প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জামাদীসহ ২ হাজার বেডের আইসোলেশনের ব্যবস্থা করা হয়। রোগীর চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার জন্য একজন পরিচালক, প্রয়োজনীয় সংখ্যক ডাক্তার ও নার্সের ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু সেই আইসোলেশন সেন্টারটি অব্যবহৃত হয়ে যায়। দীর্ঘ ৮ মাসে সেখানে খুবই কম রোগী ভর্তি হয়, তথাপি প্রতিমাসে প্রায় ৬০ লাখ টাকা ব্যয় হচ্ছিলো। ডাক্তার ও নার্সরা কর্মহীন অবস্থায় বসেছিলো। অথচ তাদের অন্য সেবা কেন্দ্রে প্রয়োজন ছিল।’

এতে আরো বলা হয়, ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় এই বসুন্ধরা আইসোলেশন সেন্টারটিকে ছেড়ে দেয়া হয় এবং সেখানে যে সমস্ত চিকিৎসা সরঞ্জামাদি ছিল সেগুলো তালিকা করে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে প্রয়োজন অনুযায়ী সরবরাহ করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, ‘সেন্টারটি অন্যত্র স্থানান্তরের বিষয়ে আমাদের জানা নেই। এটি বসুন্ধরার সম্পত্তি। এ বিষয়ে যে তথ্য দেওয়া হয়েছে তা অসত্য, মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর।’ সত্য পরিবেশন করাটাই সাংবাদিকতার মূলনীতি বলেও বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।

উল্লেখ্য, গত বছরের মার্চে দেশে নতুন করোনাভাইরাস সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার পর সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালকে এ রোগের চিকিৎসা সেবায় যুক্ত করে সরকার। একই বছর ১৭ মে রাজধানীর কুড়িলে বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারের সামনের খালি জায়গায় অস্থায়ী এ হাসপাতাল চালু হয়। সেদিন এ হাসপাতালের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

এরপর করোনার প্রকোপ কমে গেলে গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর প্রায় ৩১ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই হাসপাতালটি বন্ধ ঘোষণা করার নির্দেশনা দেয় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ। কোভিড-১৯ সংক্রমিতদের চিকিৎসার বিষয়ে বসুন্ধরা গ্রুপের সঙ্গে করা সমঝোতা স্মারকও বাতিলের কথা বলা হয় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের চিঠিতে।

বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি ‘হাসপাতাল উধাও’ শিরোনামে প্রতিবেদন করে একটি বেসরকারি টেলিভিশন। এরপরই বিষয়টি ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেয়। এরই প্রেক্ষিতেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিল।