সালথার ঘটনায় যুবক নিহত

এসিল্যান্ডের কার্যালয় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ
এসিল্যান্ডের কার্যালয় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ  © সংগৃহীত

ফরিদপুরের সালথা বাজারের একটি দোকান বন্ধ করা ও সহকারী কমিশনারের (ভূমি) এক সরকারি কর্মচারীর লাঠিপেটাকে কেন্দ্র করে সহিংসতার ঘটনায় একজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। নিহত যুবকের নাম জুবায়ের (২২)। তিনি রামকান্তপুর ইউনিয়নের মৃত আশরাফ আলীর ছেলে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলীমুজ্জামান বলেন, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে আছে। পুলিশ লাশটি উদ্ধার করতে পারেনি। লাশটি পরিবারের কাছে আছে বলে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে বলেও জানান তিনি।

জানা গেছে, সোমবার (৫ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার ফুকরা বাজার থেকে এ ঘটনার সূত্রপাত। স্থানীয়দের দাবি, করোনার বিধিনিষেধ কার্যকর করার জন্য দুই আনসার সদস্য ও সহকারীকে নিয়ে ফুকরা বাজারে যান এসি ল্যান্ড মারুফা সুলতানা। তখন চা পান করতে আসা জাকির হোসেন নামে এক যুবককে লাঠিপেটা করা হয় বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। এ ঘটনার জের ধরে ফুকরা বাজারে স্থানীদের কয়েক দফা সংঘর্ষ হয় পুলিশের সঙ্গে। পরে বিভিন্ন স্থানে গুজব ছড়িয়ে পড়ে গুলিতে দুজন নিহত হয়েছেন। এমন গুজবে সারথা থানা ও উপজেলা কমপ্লেক্স ঘেরাও করেন শত শত মানুষ।

এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী কমিশনারের (ভূমি-এসি ল্যান্ড) গাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লোকজনের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কয়েক দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় একজন নিহত হয়েছেন বলে পুলিশের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত সালথায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চলে। সংঘর্ষের ঘটনায় ৭ পুলিশ সদস্যসহ ১০ জন আহত হয়েছেন। পুলিশ ও আনসার সদস্যরা শটগানের ৫৮৮টি গুলি ও ৩২টি কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।


সর্বশেষ সংবাদ