স্থানীয় আওয়ামী লীগ সভাপতির মেয়ে জান্নাত, বিয়ের কথা জানে না এলাকাবাসী
হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরীর মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের দাবি করা ‘দ্বিতীয় স্ত্রী’ জান্নাত আরা জান্নাত ওরফে ঝরনার পরিবারের বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া গেছে।
তিনি ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের কামারগ্রাম-কুলধর গ্রামের ওয়ালিয়ার রহমানের মেয়ে। জান্নাতের বাবা ওয়ালিয়ার রহমান একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও কামারগ্রাম ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি।
শনিবার (৩ এপ্রিল) নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে এক নারীসহ মামুনুল হককে স্থানীয়রা ঘেরাওয়ের পর তিনি দাবি করে ওই নারী তার দ্বিতীয় স্ত্রী। তার নাম আমেনা তৈয়াবা। ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক ওই নারীকে তিনি বিয়ে করেছেন। তবে ওই নারী নিজেকে জান্নাত আরা জান্নাত বলে পরিচয় দেন।
এদিকে জান্নাতের আগে বিয়ে হয়েছে ও দুটি সন্তান আছে এ কথা সবাই জানলেও দ্বিতীয় বিয়ের কোনো খবরই জানে না এলাকাবাসী। আর এ নিয়ে উপজেলাজুড়ে এখন চলছে আলোচনার ঝড়।
জানা গেছে, ফেসবুক ও সংবাদমাধ্যমে খবর প্রচারের পর শনিবার রাতে ঝরনার গ্রামের বাড়িতে গিয়েও যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা।
এ বিষয়ে কামারগ্রামের বাসিন্দা ও আলফাডাঙ্গা থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক ‘আমাদের আলফাডাঙ্গা’ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক সেকেন্দার আলম জানান, এ ঘটনা প্রচারের পর অনেকেই জানার জন্য মোবাইলে ফোন করেন। জান্নাত আরা নাম হলেও আমাদের এলাকায় তিনি ঝরনা নামে পরিচিত। বিয়ে হয়েছে খুলনায়। দুটি ছেলেও আছে। তবে পরের বিয়ের খবর জানা নেই। আজ শুনলাম ও খবরে দেখলাম।
জান্নাতের দ্বিতীয় বিয়ের কথা শুনে বিস্মিত হয়ে গোপালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মনিরুজ্জামান ইকু বলেন, গ্রামবাসী কেন পরিবার জানে কিনা সন্দেহ।
তিনি জানান, ঝরনার বাবা ওয়ালিয়ার রহমান একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। তিনি আমার সময়ের কমিটির কামারগ্রাম ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। পরে তাকে সভাপতি করা হয়। বর্তমান কমিটিতে উনি সভাপতির দায়িত্বে আছেন।
কামারগ্রাম আদর্শ ডিগ্রি কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আতাউর রহমান সাইক্লোন বলেন, ঝরনার বাবা একজন সহজ সরল মানুষ। তার মেয়ের আগে বিয়ে হয়েছে। তার দুই ছেলেও আছে। পরে বিয়ে হয়েছে কি-না জানি না।