০৩ এপ্রিল ২০২১, ২০:৪৮

মামুনুলের নারীসহ আটকের ঘটনা আসলে কী?

মামুনুল হক  © ফাইল ফটো

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে একটি রিসোর্টে অবরুদ্ধ হন হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক। এ নিয়ে চারপাশে সমালোচনার ঝড় ওঠে। শনিবার (৩ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় রয়াল রিসোর্টের ৫ম তালার ৫০১ নম্বর কক্ষে তাকে অবরুদ্ধ করা হয়। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। যেখানে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ কর্মীসহ স্থানীয় কয়েকজন তাকে হোটেলে অবরুদ্ধ করে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করতে দেখা গেছে।

ওই ভিডিওতে তিনি সকলে প্রশ্নের জবাবে বলেন, সঙ্গে থাকা নারীর নাম আমিনা তৈয়ব। তিনি আমার দ্বিতীয় স্ত্রী। আমিনাকে সঙ্গে নিয়ে রিসোর্টে ঘুরতে গিয়েছিলেন তিনি।

এরপর রয়েল রিসোর্টে তাকে আটকে রাখার খবর ছড়িয়ে পড়লে কয়েকশ মানুষ সেখানে এসে স্লোগান দিয়ে ভাঙচুর শুরু করে।পরে পুলিশ তাকে নিরাপত্তা দিয়ে মুক্ত করে।

সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মুক্ত হয়ে তিনি বলেন, আপনাদের ভালোবাসার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। সাংবাদিক ও পুলিশ আমার সঙ্গে কোনো খারাপ আচরণ করেনি। কিছু বাইরের লোক খারাপ আচরণ করেছে। আমি আমার দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে এখানে ঘুরতে এসেছিলাম।

এদিকে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ জায়েদুল আলম গণমাধ্যমকে জানান, মামুনুল হক নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থানাধীন রয়েল রিসোর্টের একটি কক্ষে নারীসহ অবস্থান করছেন- এমন খবরে স্থানীয় লোকজন রিসোর্ট ঘেরাও করে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে যায়। মামুনুল হক পুলিশকে জানিয়েছেন, সঙ্গে থাকা নারী তার দ্বিতীয় স্ত্রী। পরে পুলিশ তাকে নিরাপত্তা দিয়ে সেখান থেকে উদ্ধার করেছে।

স্থানীয় পুলিশ জানায়, মামুনুল হক সকালে রয়েল রিসোর্টের ৫০১ নম্বর কক্ষটিতে ওঠেন। দুপুর থেকেই এলাকায় চাউর হয় মামুনুল হক এক নারীসহ রিসোর্টে অবস্থান করছেন। এ খবরে এলাকার লোকজন রিসোর্টটি ঘেরাও করে।

সোনারগাঁও থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তবিদ রহমান সন্ধ্যায় গণমাধ্যমকে জানান, আমরা মামুনুল হকের সঙ্গে কথা বলছি। তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।

মামুনুল হকের রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস। এ দলের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন গণমাধ্যমকে বলেন, অনেকদিন ধরেই মাওলানা মামুনুল হকসহ হেফাজতের নেতাদের বিষয়ে ষড়যন্ত্র চলছে। নানামুখী এ ষড়যন্ত্রের মধ্যে আজকের এ ঘটনাটিও ষড়যন্ত্র কিনা, আমরা দলীয়ভাবে তা খতিয়ে দেখব। ঘটনাটি আমরা মাত্র কয়েক মিনিট আগে শুনেছি, আমাদের নারায়ণগঞ্জ জেলার দায়িত্বশীলরা ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন।