‘কড়া’ লকডাউনের বার্তা সরকারের
দেশে করোনাভাইরাসের ঊর্ধ্বগতির মধ্যে ফের (৫ থেকে ১২ এপ্রিল) লকডাউনের ঘোষণা দিয়েছে সরকার। সরকারের নীতিনির্ধারকরা বলছেন, আগের বারের চেয়ে এবারের লকডাউনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। লকডাউন ঘোষণার পর সরকারের একাধিক মহল থেকে এ বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, লকডাউনে আমরা মানুষের চলাফেরা একেবারে (পুরোপুরি) সীমিত করে দিতে চাচ্ছি। যাতে মানুষ ঘর থেকে বের না হয়। অর্থাৎ লকডাউন হবে কড়াকড়ি।
তিনি বলেন, আমাদের জরুরি সেবা দেওয়া এমন সব প্রতিষ্ঠান যেমন- ডিসি অফিস, ইউএনও অফিস, ফায়ার সার্ভিস, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার অফিস, সংবাদপত্র এগুলো খোলা থাকবে।
এর আগে শনিবার (৩ এপ্রিল) সকালে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের নিজের সরকারি বাসভবনে প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে আগামী সোমবার থেকে এক সপ্তাহের (৫ থেকে ১২ এপ্রিল) জন্য সারাদেশে লকডাউন ঘোষণা করতে যাচ্ছে সরকার।
লকডাউনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শফিকুল ইসলাম জানান, গতবারের থেকে এবারের লকডাউনে পুলিশ আরও বেশি কঠোর হবে। গত বছর কোনো অভিজ্ঞতা ছাড়াই পুলিশ মাঠে থেকে কাজ করেছে। গতবারের অভিজ্ঞতা সঙ্গে নিয়ে এবার পুলিশ কাউকেই লকডাউন ও স্বাস্থ্যবিধি বিধি লঙ্ঘনে ছাড় দেবে না।
এদিকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, লকডাউনের প্রজ্ঞাপন তৈরির বিষয়ে কাজ চলছে। সন্ধ্যা বা কাল সকালের মধ্যেই এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, যেসব প্রতিষ্ঠান জরুরি সেবা দেয়, সেই ধরনের প্রতিষ্ঠানগুলো লকডাউন চলাকালে খোলা থাকবে। এছাড়া শিল্প-কলকারখানাও খোলা থাকবে, যাতে শ্রমিকরা শিফটিংয়ের মাধ্যমে কাজ করতে পারে।