পবিত্র শবে বরাত আজ
আজ সোমবার (২৯ মার্চ) দিবাগত রাতে যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদায় পালিত হবে পবিত্র শবে বরাত। ফারসি ‘শব’ শব্দের অর্থ রাত এবং ‘বরাত’ শব্দের অর্থ সৌভাগ্য। আরবিতে বলে ‘লাইলাতুল বরাত’, অর্থাৎ সৌভাগ্যের রজনী। হিজরি সালের শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতটি বিশ্ব মুসলিম উম্মাহ পালন করে সৌভাগ্যের রজনী হিসেবে।
এই মর্যাদাপূর্ণ রাতে মহান আল্লাহ তাআলা বান্দাদের জন্য তাঁর অশেষ রহমতের দরজা খুলে দেন। মহিমান্বিত এই রাতে সারা বিশ্বের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা পরম করুণাময়ের অনুগ্রহ লাভের আশায় বেশি বেশি নফল নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত, জিকিরে মগ্ন থাকবেন। দিনে রোজা রাখবেন অনেকে। দান-খয়রাত করবেন। বিগত জীবনের পাপ মার্জনা এবং ভবিষ্যৎ জীবনের কল্যাণ কামনা করে মোনাজাত করবেন।
এর আগে বাংলাদেশের আকাশে ১৪ মার্চ ১৪৪২ হিজরি সনের পবিত্র শাবান মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে ১৫ মার্চ পবিত্র রজব মাস ৩০ দিন পূর্ণ হয়। সে হিসেবে ১৬ মার্চ মঙ্গলবার থেকে পবিত্র শাবান মাস গণনা শুরু হয়। আর ১৪ শাবান হবে ২৯ মার্চ। সে হিসেবে মহিমান্বিত রাত হিসেবে ইবাদত বন্দেগী করবেন মুসলমানরা।
ইবাদত-বন্দেগির পাশাপাশি বাড়ি বাড়ি হরেক রকমের হালুয়া, ফিরনি, রুটিসহ উপাদেয় খাবার তৈরি করা হবে। এসব খাবার বিতরণ করা হবে আত্মীয়স্বজন, প্রতিবেশী ও গরিব-দুঃখীর মধ্যে। সন্ধ্যার পরে অনেকে যাবেন কবরস্থানে। চিরনিদ্রায় শায়িত আপনজনদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করবেন।
আরবি দিনপঞ্জিকা অনুসারে শাবান মাসের পরে আসে পবিত্র রমজান মাস। শবে বরাত মুসলিমদের কাছে রমজানের আগমনী বার্তা বয়ে আনে। তাই শবে বরাতের রাত থেকে আসন্ন রমজানের প্রস্তুতিও শুরু হয়ে যায়।
এদিকে, করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার কারণে এবারও স্বাস্থ্যবিধি মেনে শবে বরাত পালনের অনুরোধ করছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। রবিবার ফাউন্ডেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা শায়লা শারমীন গণমাধ্যমে দেয়া সাক্ষাৎকারে এ আহবান জানান।
তিনি বলেন, ঘরে বসে ইবাদত করার কোনো নির্দেশনা এখনও আমাদের কাছে আসেনি। যেহেতু সব কিছু চলছে, তাই মুসল্লিরা শবে বরাতের নামাজ আদায় করতে পারবেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করে নামাজ আদায়ের অনুরোধ তার।