ঢাকায় ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে তিনদিনের সফরে ঢাকায় পৌঁছেছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ড. লোটে শেরিং।
মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) সকাল সাড়ে ৯টায় একটি বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন লোটে শেরিং। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এটি তার দ্বিতীয় বাংলাদেশ সফর।
বিমানবন্দরে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিমানবন্দরের ভিভিআইপি টার্মিনালে লোটে শেরিংকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়। তাকে স্বাগত জানানো হয় ২১ বার তোপধ্বনি দিয়ে। পরে বিমানবন্দরে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।
এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমেদ, ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তফা জব্বার, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস এবং তিন বাহিনীর প্রধান উপস্থিত ছিলেন।
তিন দিনের এ সফরের প্রথম দিনে বিমানবন্দর থেকে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী সরাসরি সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে যাবেন, সেখানে তিনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে একটি গাছের চারা রোপণ করার পাশাপাশি পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করবেন তিনি।
এরপর ভুটানের প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি যাদুঘর পরিদর্শন করে সেখানে পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করবেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বিকেলে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। সন্ধ্যায় হোটেল সোনারগাঁওয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া নৈশভোজে যোগ দেবেন লোটে শেরিং। সেখানে তিনি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও উপভোগ করবেন।
বুধবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে একান্ত বৈঠক হবে। পরে তাদের নেতৃত্বে হবে দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক।
বিকেলে বঙ্গভবনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো.আবদুল হামিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে লোটে শেরিং জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর আয়োজনে যোগ দেবেন।
তিন দিনের এ সফর শেষে বৃহস্পতিবার সকালে ভুটানের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করবেন প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী উদযাপনে ১৭ মার্চ থেকে ১০ দিনব্যাপী বিশেষ অনুষ্ঠানমালা শুরু হয়েছে। স্বাস্থ্য নির্দেশনা মেনে ২৬ মার্চ পর্যন্ত এই অনুষ্ঠান চলবে। অনুষ্ঠানের মূল থিম ‘মুজিব চিরন্তন’। তবে বিভিন্ন দিনের অনুষ্ঠানের পৃথক থিম থাকছে।
‘মুজিব চিরন্তন’ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে প্রথম বিশ্বনেতা হিসেবে ১৭ মার্চ ঢাকায় আসেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সলিহ। দ্বিতীয় বিশ্বনেতা হিসেবে ১৯ মার্চ ঢাকায় আসেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষে। তৃতীয় বিশ্বনেতা হিসেবে ২২ মার্চ আসেন নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভান্ডারি। আজ এলেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং। আর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২৬ মার্চ ঢাকায় আসবেন।