স্বপ্নে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনা পেয়ে অভিনব উদ্যোগ রিকশাচালকের
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে ৪০ কেজি ফুল দিয়ে সাজিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রিকশাচালক দ্বীন ইসলাম। ৪০ বছর বয়সী দ্বীন ইসলামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার চণ্ডিপাশা ইউনিয়নের বড় আজলদী গ্রামে। তিনি কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মী নন।
৪০ কেজি ফুল নিয়ে রবিবার পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদ চত্বরে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল প্রাঙ্গণে আসেন দ্বীন ইসলাম। গত কয়েকদিন রিকশা চালিয়ে উপার্জন করা ১০ হাজার টাকা দিয়ে ফুলগুলো কিনেন তিনি।
ফুল দিয়ে ম্যুরাল সাজানোর বিষয়ে দ্বীন ইসলাম ব্যাখ্যা দেন, এক রাতে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপ্নে দেখেন। আর তাই বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর প্রবল ইচ্ছে হয় তার। এই ভাবনা থেকেই রিকশা চালিয়ে ১০ হাজার টাকা উপার্জন করা ১০ হাজার টাকা দিয়ে একটি ফুলের তোড়া, কিছু গোলাপ, বেলি, গাঁদা, রজনীগন্ধা ও সূর্যমুখীসহ বিভিন্ন ধরনের ৪০ কেজি ফুল কেনেন তিনি।
খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, ম্যুরালে বঙ্গবন্ধুর গলায় ফুলের মালা। বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালের সিঁড়ি ও বেদীতে নানা রঙের ফুলের পাপড়ি বিছানো। বিছানো পাপড়ির মাঝখানে লাল সূর্য। নিচে ফুলের একটি বড় তোড়া। চারপাশের রেলিংয়ে গাঁদা ফুলের মালা দিয়ে সাজানো। ম্যুরালের দু’পাশে দু’টি ব্যানার টাঙানো। তাতে তার ঠিকানাসহ দ্বীন ইসলামের পক্ষ থেকে ‘শ্রদ্ধাঞ্জলি’ লেখা রয়েছে। আর ম্যুরালের সামনের সিঁড়িতে দ্বীন ইসলাম বসে আছেন।
রিকশাচালক দ্বীন ইসলাম বলেন, আমি কোনো দল করি না। তবে বঙ্গবন্ধুকে আমি খুবই ভালোবাসি। তাকে নিয়ে একাধিকবার স্বপ্ন দেখেছি। তাই বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে ফুল দিয়ে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে রিকশা চালিয়ে ১০ হাজার টাকা রোজগার করি। এই টাকা দিয়ে ৪০ কেজি ফুল কিনে শ্রদ্ধা জানিয়েছি।
তিনি জানান, এর আগে ২০১৭ সালেও তিনি বঙ্গবন্ধুকে দেখতে পান। সে সময় তার নির্দেশ পালনে কক্সবাজার ও গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় যান। টুঙ্গিপাড়ায় তার কবরস্থান জিয়ারত করেন এবং সেখানে দুটি পায়রা উড়ান। লোকে যাই বলুক স্বপ্নে পাওয়া বঙ্গবন্ধুর আদেশ পালনে তিনি বদ্ধপরিকর। এগুলো লোক দেখানো কিংবা নিজেকে প্রচারের জন্য নয় বলেও জানান তিনি।