১৮ মার্চ ২০২১, ১৬:২৬

প্রাথমিক বিদ্যালয় ও রেলপথ মন্ত্রণালয় নিয়োগে কোটা বাতিল চেয়ে রিট

হাইকোর্ট  © ফাইল ফটো

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও রেলপথ মন্ত্রণালয়ের নিয়োগে বিদ্যমান কোটা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) চাকরি প্রত্যাশীদের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী একলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া এ রিট দায়ের করেন।

রিট আবেদনে বলা হয়েছে, ২০২০ সালের ১৮ অক্টোবর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক কর্তৃক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রচারের পর বিভিন্ন গণমাধ্যম থেকে জানা যায়, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩৫ হাজারের অধিক সহকারী শিক্ষককে শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্প-৪ (পিইডিপি) এর আওতায় নেওয়া হবে। কিন্তু ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক কোটা প্রথা বাতিল করা হয়। পরে উদ্দেশ্যমূলকভাবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদফতর ২০১৯ সালের ৪ এপ্রিল একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে ৬০ শতাংশ নারী, ২০ শতাংশ পোষ্য কোটা এবং পুরুষ প্রার্থীর জন্য ২০ শতাংশ কোটা নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে। যা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ২০১৮ সালের ৪ এপ্রিল কোটা বাতিল সংক্রান্ত পরিপত্র এবং সংবিধানের ২৭, ২৯ ও ৩১ অনুচ্ছেদের পরিপন্থী।

রিট আবেদনে আরও বলা হয়, যারা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি করছেন তাদের ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের ২০২০ সালের ২২ নভেম্বরের প্রজ্ঞাপনে ৪০ শতাংশ পোষ্য কোটা রাখা হয়েছে। অথচ অন্য কোনও অনগ্রসর কিংবা প্রতিবন্ধীদের সম্বন্ধে কোনও কোটার উল্লেখ নেই। উক্ত কোটা বন্টনের ফলে সমাজের নিম্ন শ্রেণির তথা দিনমজুর, শ্রমিক, রিকশাচালক, কৃষকের সরকারি চাকরিপ্রত্যাশী ছেলে সন্তানদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হয়েছে। যা তাদের প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগ লাভের অধিকার থেকে বঞ্চিত করে। তাই এসব প্রজ্ঞাপনের সিদ্ধাস্ত বহাল থাকলে লাখ লাখ শিক্ষিত বেকার যুবক চাকরি থেকে বঞ্চিত হবে।

রিট আবেদনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব, রেলপথ মন্ত্রণালয় সচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সচিব, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালককে বিবাদী করা হয়েছে।