মোদির আগমন ঠেকানোর ঘোষণা প্রগতিশীল ছাত্রজোটের

  © সংগৃহীত

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকায় আগমন ঠেকানোর ঘোষণা দিয়েছে প্রগতিশীল ছাত্রজোট। বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) মধুর ক্যান্টিনের সামনে সংবাদ সম্মেলন থেকে তারা এ ঘোষণা দেন। একই সাথে আগমনের প্রতিবাদে কর্মসূচিও দিয়েছেন বামজোটের নেতারা।

কর্মসূচি অনুযায়ী, ১৯ মার্চ বিকেল ৩টায় রাজু ভাস্কর্যে মোদিবিরোধী সমাবেশ ও মিছিল এবং ২৫ মার্চ সন্ধ্যায় মশাল মিছিল করবে সংগঠনটি। গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সভাপতি আরিফ মঈনুদ্দিনের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি ফয়েজ উল্লাহ।

তিনি বলেন, জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়া ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত শাসকগােষ্ঠী জনগণকে বিচ্ছিন্ন রেখে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালনের হাঁকডাক দিচ্ছে। এমতাবস্থায় স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে বাংলাদেশে আসছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি। নরেন্দ্র মােদির আগমনের প্রতিবাদ জানাচ্ছে বিবেকবান মানুষ ও রাজনৈতিক দলগুলো। প্রতিবাদ ঠেকাতে ডিএমপির ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কমিশনার ১৭ মার্চ থেকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত রাজনৈতিক দলগুলোকে কর্মসূচি না রাখার আহবান জানিয়েছেন। একইসাথে অনুরােধ উপেক্ষা করে যারা কর্মসূচি পালন করবে তাদের রাষ্ট্রদ্রোহী হিসেবে চিহ্নিত করে কঠোর হস্তে দমন করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। আমরা প্রশাসনের এই রকম কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানাই।

নরেন্দ্র মােদিকে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে আমন্ত্রণ জানানাে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাপরিপন্থী উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে চাই, মােদির আগমনের প্রতিবাদ জানানাে ন্যায়সঙ্গত অধিকার। গতবছর দিল্লী কিলিংয়ের ঘটনা মােদি সরকারের নির্দেশে ঘটেছে। মানবতাবিরােধী নাগরিকত্ব আইন করে আসাম ও পশ্চিমবঙ্গ থেকে কয়েক লাখ বাঙালি জনগণকে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়ার আয়ােজন করেছে মােদি সরকার। প্রবলভাবে সাম্প্রদায়িকতাকে উস্কে দিচ্ছে। ভারতের জনগণের ন্যায়সঙ্গত সমস্ত আন্দোলনকে কঠোরভাবে দমন করছে। সাম্প্রতিক কৃষক আন্দোলনে আমরা মােদি সরকারের ফ্যাসিস্ট রূপ দেখেছি।

তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশের শাসকগােষ্ঠী কথায় কথায় ভারতকে আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র হিসেবে আখ্যায়িত করে। অথচ বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে প্রায়শই ভারতের বিএসএফ গুলি করে বাংলাদেশের জনগণকে হত্যা করছে। এ সব হত্যার কোনাে বিচার হচ্ছে না। তিস্তা নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা বাংলাদেশ এখনও পায়নি। তিস্তা চুক্তির কথা থাকলেও দীর্ঘকাল অতিক্রান্ত হলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। নদী, বন্দর, সুন্দরবন সমস্ত কিছু ভারতীয় আগ্রাসনের শিকার। এমনকি ভারত বাংলাদেশের রাজনীতির অভ্যন্তরীণ ব্যাপারেও হস্তক্ষেপ করছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি ইকবাল কবির, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি মাসুদ রানা, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি জাহিদ সুজন, বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলনের সভাপতি আতিক অনিক, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি আল কাদেরী জয়, পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের সভাপতি বিপুল চাকমা। 


সর্বশেষ সংবাদ