১৮ মার্চ ২০২১, ১২:৪৯

৪১তম বিসিএসের আপিল শুনানি হতে পারে ২টার পর

আদালতে বিসিএস পরীক্ষার্থীরা  © সংগৃহীত

করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় ৪১তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে আজ বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) দেশের সর্বোচ্চ আদালত হাইকোর্টের অ্যাপিলিয়েড ডিভিশনে গেছেন বিসিএস প্রত্যাশীরা। সেখানে আজ বেলা ২টার পর শুনানি হতে পারে জানিয়েছেন পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে আন্দোলনকারীরা। এদিকে পরীক্ষার্থীদের অপর একটি দল সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যানকে স্মারকলিপি দিতে গেছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে আজ বৃহস্পতিবার বেলা পৌণে ১টার দিকে আন্দোলনকারীদের অন্যতম ওলি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘আমরা এখন কোর্টে আছি। বেলা ২টার পর আমাদের আপিলের শুনানি হতে পারে। এছাড়া আমাদের কয়েকজন পিএসসিতে গেছেন। তারা ভেতরে আছেন। বের হলে আপডেট বলা যাবে।’

যদিও বুধবার (১৭ মার্চ) পিএসসি চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন জানিয়ে দিয়েছেন, শেষ মুহূর্তে এসে পরীক্ষা পেছানোর কোনো সম্ভাবনা নেই। তবুও পরীক্ষার্থীদের বড় একটি অংশ শেষ মুহূর্তে অভাবনীয় কিছু হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন। পাশাপাশি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ারও প্রস্তুতি নিয়েছেন তারা।

জানা গেছে, আজ বৃহস্পতিবার নিজেদের শেষ চেষ্টা হিসেবে হাইকোর্টের আপিল বিভাগে ৪১তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা পেছানোর দাবি নিয়ে গেছেন বিসিএস প্রত্যাশীরা। তারা বলছেন, পিএসসি একঘেয়েমি করছে। যেখানে দেশের সবাই চাচ্ছে এই মুহূর্তে পরীক্ষা না হোক, তবুও পিএসসি তাদের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসছে না।

আগামীকাল শুক্রবার সারাদেশে একযোগে ৪১তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে পরীক্ষা আয়োজনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে সরকারী কর্ম কমিশন (পিএসসি)। পরীক্ষার কেন্দ্রগুলো সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত। তবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় পরীক্ষার্থীদের বড় একটি অংশ উদ্বেগে রয়েছেন।

তথ্যমতে, গত ১৩ জানুয়ারি ৪১তম বিসিএসের তারিখ ঘোষণা করে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী ১৯ মার্চ এই বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ কেন্দ্রে একযোগে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

বিভিন্ন ক্যাডারে দুই হাজার ১৬৬ শূন্যপদে প্রার্থী নিয়োগ দিতে ৪১তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় ২০১৯ সালে নভেম্বরে। ২০১৯ সালের ৫ ডিসেম্বর থেকে আবেদন জমা জমা নেওয়া হয় ২০২০ সালের ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত। প্রার্থীদের মধ্যে প্রশাসন ক্যাডারে সহকারী কমিশনার পদে ৩২৩ জনসহ সাধারণ ক্যাডারে ৬৪২ জন, প্রফেশনাল ও টেকনিক্যাল ক্যাডারে ৬১৯ জন, সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারে ৮৯২ জন, সহকারী শিক্ষক প্রশিক্ষণের জন্য ১৩ জনসহ মোট দুই হাজার ১৬৬ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে।