এখনো করোনার টিকা নেননি অনেক শিক্ষক-কর্মকর্তা
করোনাভাইরাস মহামারির সংক্রমণ কিছুটা কমতে শুরু করায় শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের টিকা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়ে আগামী ৩০ মার্চ থেকে শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার কথা জানিয়েছিল সরকার। তবে এখন পর্যন্ত অনেক শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারী টিকা গ্রহণ করেননি।
এদিকে করোনা মহামারির সংক্রমণ আবারো বাড়তে শুরু করায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৮৬৫ জন। একই সময় এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সূত্রে জানা গেছে, আগামী ৩০ মার্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার আগে শিক্ষকদের করোনা ভাইরাসের প্রথম ডোজের টিকা নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়। টিকা নেওয়ার নিবন্ধনের জন্য চালু করা ওয়েবসাইটে (সুরক্ষা) শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অগ্রাধিকারভুক্ত করে আলাদা একটি ব্যবস্থাও করা হয়েছে। যেখানে শিক্ষক এবং কর্মকর্তা-কর্মচারী নামে আলাদা দুটি শ্রেণি রাখা হয়েছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মোট ৩ লাখ ৮০ হাজার ৩৭৬ শিক্ষকের তালিকা স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের কাছে পাঠিয়েছে। কিন্তু খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত সোমবার পর্যন্ত মোট ২ লাখ ৬০ হাজার ২২৩ জন শিক্ষক নিবন্ধন করেছেন। তাঁদের মধ্যে টিকা নিয়েছেন ২ লাখ ১৩ হাজার ৩৭২ জন।
অন্যদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মোট শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী আছেন ৭ লাখ ২৯ হাজার ৯৯০ জন। এর মধ্যে ৪০ বছরের কম বয়সী শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী আছেন ২ লাখ ৬৫ হাজার ৪২৬ জন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত কতজন টিকা নিয়েছেন, সেই তথ্যটি দু-এক দিনের মধ্যে তাঁরা চাইবেন।
এ বিষয়ে মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ গোলাম ফারুক বলেন, কতজন শিক্ষক টিকা নিয়েছেন, তার সুনির্দিষ্ট তথ্য তাদের কাছে আসেনি। তবে ৪০ বছরের বেশি বয়সী বেশির ভাগ শিক্ষকই টিকা নিয়েছেন। কিছুটা পিছিয়ে আছেন ৪০ বছরের কম বয়সী শিক্ষকেরা। শিগগির সব শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী টিকা নিয়ে নেবেন বলেও তিনি আশা করছেন।
অন্যদিকে আগমী ১৭ মে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আবাসিক হল ও ২৪ মে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার আগে প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার আবাসিক শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে এজন্য ‘সুরক্ষা’ ওয়েবসাইটে এখনো শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা কোনো ব্যবস্থা চালু করা হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বর্তমানে আবাসিক শিক্ষার্থীদের তথ্য সংগ্রহ করছে। তারপর টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।