প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শেখানো হবে রোবটিকস ও আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সসহ নানা প্রযুক্তি
১৩ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ‘শেখ রাসেল ডিজিটাল কম্পিউটার ল্যাব’ স্থাপন প্রকল্পে এবার প্রাথমিক বিদ্যালয়কে যুক্ত করা হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই), রোবটিকস, ব্লকচেইন, বিগ ডাটার মতো নতুন নতুন প্রযুক্তি সম্পর্কে ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষা দেয়া হবে। বর্তমানে অনলাইন প্লাটফর্ম ই-শিক্ষা ডট নেট এ শিক্ষা দেয়া হচ্ছে। এছাড়াও শেখানো হবে বাংলায় প্রোগ্রামিং। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল করছে জানা গেছে।
সূত্র মতে, প্রোগ্রামিংয়ের জন্য ভাষা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ভাষা শেখার বিষয়টি আগে আয়ত্ত করার জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। অঙ্ক, ইংরেজী ও বিজ্ঞানের সঙ্গে তরুণ প্রজন্মের গভীর যোগাযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করতে কাজ করা হচ্ছে। স্কুল পর্যায়ে ভাল প্রোগ্রামার তৈরি করার জন্য চলমান ‘শেখ রাসেল ডিজিটাল কম্পিউটার ল্যাব’ প্রকল্পে এবার যুক্ত করা হচ্ছে প্রাথমিক বিদ্যালয়।
সারাদেশে ৬ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপনের কাজ শুরু করা হচ্ছে। যাতে তারা প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকেই তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে দক্ষ হয়ে বেরিয়ে আসতে পারে। প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টার পরামর্শে ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত কম্পিউটার শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। শৈশব ও কৈশর থেকেই যেন শিক্ষার্থীরা গ্রোগ্রামিং জানতে পারে এজন্য ইতোমধ্যেই প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত ১৩ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শেখ রাসেল ডিজিটাল কম্পিউটার ল্যাব গড়ে তোলা হচ্ছে। চলমান প্রকল্পটি এ বছরেই শেষ হওয়ার কথা রয়েছে বলে জানা গেছে।
তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ জানিয়েছে, গত বছর প্রযুক্তির ব্যাপক প্রসার ঘটেছে। অনেক নতুন প্রযুক্তির এসেছে। এ বছরটিতে কি হবে তা প্রযুক্তিবিদরা ভাবতে পারছিলেন না এই সেক্টরে কি অপেক্ষা করছে। কিন্তু করোনার মতো মহামারী বিশ্বজুড়ে একটা স্থবিরতা তৈরি করেছে। নতুন প্রযুক্তির খবর এখন আর ওইভাবে প্রকাশ পাচ্ছে না। তবে নতুন প্রযুক্তি যে আসবে না তা বলা মুশকিল। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই), রোবটিকস, ব্লকচেইন, বিগ ডাটার মতো নতুন প্রযুক্তি পৃথিবীকে দ্রুত বদল করে দিচ্ছে। প্রযুক্তিপ্রেমীরা শিখেছেন অনলাইনে কাকে বিশ্বাস করতে হবে, ইন্টারনেট জগতে কখন কথা বলতে হবে, কিভাবে অন্য দেশে না গিয়ে বা বাইরের টিভি চ্যানেলের সাহায্য না নিয়েই বড় কোন অনুষ্ঠান ইন্টারনেটের মাধ্যমে স্ট্রিম করে দেখতে হবে। প্রযুক্তি খাতের এ ধরনের অবিশ্বাসও সব ক্ষমতা এখনই চোখে পড়েছে। সবমিলিয়ে প্রযুক্তি ও ইন্টারনেটের কল্যাণে অনেক কিছু মানুষের আয়াত্তে চলে এসেছে।
তথ্যপ্রযুক্তিবিদরা জানিয়েছেন, তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্ব রাজনীতিতে ফেলেছে বিরাট প্রভাব। এর আগে শিক্ষা চিকিৎসাসহ সমাজের নানা খাতে তথ্যপ্রযুক্তি সাফলের সঙ্গে কাজ করেছে। বাংলাদেশ উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে তাল মিলিয়েই এগিয়ে যাচ্ছে। তবে একটা পরিকল্পনা খুব জরুরী। সরকার ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার যে অঙ্গীকার করেছে-তার অনেক কিছুই ২০২০ সালের মধ্যে বাস্তবায়ন হয়েছে। তাই এখন জরুরী সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়ন ঘটানো। তথ্যপ্রযুক্তি বাংলাদেশের অগ্রগতি উল্লেখযোগ্য হারে এগিয়ে যাচ্ছে বলে তথ্যপ্রযুক্তিবিদরা মনে করছেন। তবে সরকারী পর্যায়ে ডিজিটাল ব্যবস্থা গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে হবে। বেসরকারী পর্যায়ে মানুষের প্রয়োজনে তথ্যপ্রযুক্তি অনেক দূর এগিয়েছে। কিন্তু সরকারী অফিসগুলোতে এখনও তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার অনেক কম। এই জায়গায় জোর দিতে হবে।