চিকিৎসকরা বিসিএস পররাষ্ট্র ক্যাডার হওয়ায় আফসোস পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন জানিয়েছেন, মেডিকেল, প্রকৌশলের মতো বিশেষায়িত ডিগ্রিধারীরা বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস-বিসিএস (পররাষ্ট্র) ক্যাডারে ঢুকছেন। মেধার জোরে ও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় ভালো করে পররাষ্ট্র ক্যাডার হলেও তিনি আফসোস করে বলেছেন, তাঁদের নিয়ে, বিশেষ করে একজন শিক্ষার্থীকে চিকিৎসক হিসেবে তৈরি করতে রাষ্ট্রের বিপুল অর্থ ব্যয় হয়।
এসময় মন্ত্রী বলেন, ‘চিকিৎসাবিদ্যা শেখার পর একজন চিকিৎসক অন্য পেশায় চলে গেলে তা রাষ্ট্রের বিশাল ক্ষতি।’ শনিবার (৬ মার্চ) বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) খেলার মাঠে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও কূটনৈতিক সাংবাদিকদের সংগঠন-ডিকাবের মধ্যে প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ শেষে এ কথা বলেন তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘জেনে খুশি হলাম যে বুয়েটের মাঠে আমার সহকর্মী সবাই আপনাদের সাবেক ছাত্র। এটা বড় ধারা। স্বাভাবিকভাবেই এ ধারার কারণ হলো বুয়েটে ভালো ছাত্ররা আসে। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় তারা সফল হয়। সে কারণে আমাদের মন্ত্রণালয়ে এখন বহু ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার। এবার ২৩ জনের মধ্যে ১৪ জনই ইঞ্জিনিয়ার, পাঁচজন ডাক্তার।’
মন্ত্রী বলেন, ‘এটি পুরোপুরি পরিবর্তন। ডাক্তার হলে পরে দুঃখ লাগে আমার। এত কষ্ট করে ডাক্তারি পাস হয়, যারা মানুষের সেবার জন্য..., একেবারে সরাসরি হেল্প করে। তারা অন্য জায়গায় গেলে এটি রাষ্ট্রের ক্ষতি।’
এর কারণ উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে পড়াশোনার জন্য সরকারিভাবে যথেষ্ট অনুদান ও ভর্তুকি দেওয়া হয়। আমরা খুব ভাগ্যবান যে, আমাদের উচ্চশিক্ষা নিতেও নিজের পকেটের পয়সা খুব একটা খরচ হয় না। কারণ সরকার, জনগণ, কৃষক, শ্রমিক, বিভিন্ন ধরনের পেশার লোক পড়াশোনা করায়।’
এসময় মন্ত্রী নিজের উদাহরণ দিয়ে বলেন, ‘অর্ধডজন ডিগ্রি করেছি। একটি পয়সাও নিজের পকেট থেকে খরচ হয়নি। আমি দেশের জনগণকে ধন্যবাদ জানাই, তাদের কারণে বিভিন্ন ধরনের বৃত্তি পেয়েছি।’
ক্রিকেট প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ক্রিকেট বিদেশি খেলা। আমরা এটিকে আমাদের করে ফেলেছি। যারা এ খেলা তৈরি করেছিল তাদেরও আমরা এখন হারাই, আমরা বিজয়ীর জাতি। আমরা যেটি হাতে ধরি, সেটিতে খুব ভালো করি। ক্রিকেট তার একটি উদাহরণ।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমরা খুব স্বচ্ছ সরকার হতে চাই। সেদিক থেকে সাংবাদিকরা বিরাট দায়িত্ব পালন করছেন।’
অনুষ্ঠানে বুয়েট ও আইইউটির উপাচার্যসহ শিক্ষক, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ম্যাচে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দল বিজয়ী হয়।