টিকার ব্যবস্থাও করেছি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও খুলে দিচ্ছি: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা  © ফাইল ফটো

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা ৩০ মার্চের মধ্যে স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ারও ব্যবস্থা করছি। আমরা শিক্ষিত ও দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে বদ্ধ পরিকর।

রবিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষাসহায়তা ট্রাস্ট থেকে দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে উপবৃত্তি, টিউশন ফি, ভর্তি সহায়তা ও চিকিৎসা অনুদান বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এক কোটি ৬৩ লাখ ৮০০ শিক্ষার্থীর মাঝে ৮৭ কোটি ৫২ লাখ টাকার শিক্ষা সহায়তা প্রদান কার্যক্রম উদ্বোধন ঘোষণা করছি। ২০১০ থেকে ২০২১ পর্যন্ত ৩৬৬ কোটি বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে। করোনার মধ্যে এ বছরও এটি বন্ধ হয়নি। এজন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ জানাই।

এর আগে গতকাল শনিবার স্কুল-কলেজ খোলার জন্য পরিবেশ পর্যালোচনায় আয়োজিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে আগামী ৩০ মার্চ প্রাথমিক থেকে শুরু করে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের সব স্কুল-কলেজ খুলে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

তবে স্কুল-কলেজ খোলার ঘোষণা আসলেও বিশ্ববিদ্যালয় খোলার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। ফলে আগামী ২৩ মে পর্যন্ত বন্ধই থাকছে দেশের সব সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের শনিবার রাতে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আজকের সভায় বিশ্ববিদ্যালয় খোলা প্রসঙ্গে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। মাননীয় মন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী ২৪ মে থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় খুলবে।

পড়ুন: শিক্ষক-কর্মচারীদের করোনা টিকা স্কুল-কলেজ খোলার আগেই

             স্বাস্থ্যবিধি মেনেই শিক্ষার্থীদের ক্লাস হবে: শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষার উন্নয়ন ও প্রসারে সরকারের নানা উদ্যোগের চিত্র তুলে ধরে এ ক্ষেত্রে বিত্তবানদেরও এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

তিন বলেন, আমরা শিক্ষাসহায়তা ট্রাস্টের মাধ্যমে সারাদেশের লাখ লাখ শিক্ষার্থীদের শিক্ষাসহায়তা দিয়ে যাচ্ছি। আমরা শিক্ষিত ও দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে বদ্ধপরিকর। এ ক্ষেত্রে বিত্তশালীরাও এগিয়ে আসবেন। আমাদের শিক্ষাসহায়তা ট্রাস্ট ফান্ডে সহায়তা করবেন বা নিজ নিজ এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সহায়তা করবেন।


সর্বশেষ সংবাদ