কারও মৃত্যুকে কেন্দ্র করে অসন্তোষ তৈরি করা কাম্য নয়

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা  © ফাইল ফটো

কারও মৃত্যুকে ঘিরে সরকারবিরোধী অসন্তোষ তৈরির চেষ্টা কাম্য হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে একজন সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কারও মৃত্যুই কাম্য নয়। কিন্তু কারও মৃত্যুকে কেন্দ্র করে অসন্তোষ তৈরি করাও কাম্য নয়। ডিজিটাল বাংলাদেশ যখন গড়েছি, তখন ডিজিটাল বিশ্বে নিরাপত্তা দেওয়াও সরকারের কাজ।

উল্লেখ্য, কারাবন্দি লেখক মুশতাক আহমেদ বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টার দিকে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রের অভিযোগে র‌্যাবের করা মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কাশিমপুর কারাগারে ছিলেন।

এলডিসি থেকে উত্তরণে জাতিসংঘের চূড়ান্ত সুপারিশ পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে সংবাদ সম্মেলনে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে যুক্ত হন।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার সমালোচিত। এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ যখন গড়ে তুলেছি, ডিজিটাল নিরাপত্তা দেওয়াটাও আমাদের কাজ। এই দায়িত্বটাও আমাদের পালন করতে হবে।

তিনি বলেন, এ কারণেই এই দায়িত্ব পালন করতে হবে যেন ডিজিটাল বিশ্বে শিশু থেকে যুবক পর্যন্ত কাউকে বিব্রত না হতে হয়। কেউ যেন অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িত না হতে পারে, সেটা দেখতে হবে। আমাদের দেখতে হবে, কেউ যেন এমন কোনো কাজ করতে না পারে যা দেশের ক্ষতি করে, দেশের মানুষের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সে কারণেই ডিজিটাল বাংলাদেশের সঙ্গে সঙ্গে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনও প্রয়োজন।

সমালোচকদের প্রসঙ্গ টেনে শেখ হাসিনা বলেন, সমালোচনা যারা করছেন, তারা করবেনই। সবচেয়ে বেশি সমালোচনা কারা করছে? তারা কি বাস্তব কথা একবারও উপলব্ধি করতে পারে? আজ শুভ দিন। আজ অন্য কোনো কথা বলতে চাই না। আমার বয়স ৭৫ বছর। মানুষের অধিকার আদায় করতে স্কুলে থাকতেই রাস্তায় নামতে শুরু করেছি। সেই বাষট্টি সাল থেকে পথে পথে আছি মানুষের জন্য। কাজেই দেশের সবাইকে চেনা আছে। কে কোথায় কী করছে, সেটা আমাদের জানা আছে।

তিনি আরও বলেন, কারাগারে বন্দি অবস্থায় জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়েছি। তেমন কিছু তো ঘটেনি! কেউ অসুস্থ হয়ে মারা গেলে কী করার আছে? তবে কারও মৃত্যুই কাম্য নয়। আবার কারও মৃত্যুকে কেন্দ্র করে অসন্তোষ তৈরি করাও কাম্য নয়।

গণভবন প্রান্তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

গণভবন প্রান্তে সভা পরিচালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় প্রান্তে সভা পরিচালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম।


সর্বশেষ সংবাদ