মুশতাকের পরিবারকে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি ডা. জাফরুল্লাহর

আজ শুক্রবার ঢাকায় তোপখানা রোডে বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সভা ও জাতীয় কাউন্সিলে উপস্থিত ছিলেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী
আজ শুক্রবার ঢাকায় তোপখানা রোডে বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সভা ও জাতীয় কাউন্সিলে উপস্থিত ছিলেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী  © সংগৃহীত

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কারাবন্দি অবস্থায় লেখক মুশতাক আহমেদের পরিবারকে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, গতকাল কাশিমপুর কারাগারে ডিজিটাল আইনে কারাবন্দি মুক্তচিন্তার লেখক মুশতাক মারা গেছে। তার মৃত্যুর জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে জনসম্মুখে ক্ষমা চাইতে হবে, বলতে হবে আমাদের ভুল হয়েছে। মোস্তাকের পরিবারে ৫০ লাখ টাকা এখনই ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এখন সময় এসেছে ডিজিটাল আইনকে কবরে পাঠানো।

আজ শুক্রবার সকালে (২৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকায় তোপখানা রোডে শিশু কল্যাণ পরিষদে মিলনায়তনে বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সভা ও জাতীয় কাউন্সিলে তিনি এসব কথা বলেন।

ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, একটা জাতি কতটা সভ্য, কতটা ন্যয়ভিত্তিক তা নির্ভর করে কৃষক ও শ্রমিকের সাথে তাদের ব্যবহারের উপর। কয়েক বছর আগে খুলনা গিয়েছিলাম, তখন জুটমিল শ্রমিকরা আন্দোলন করছিল, শীতের মধ্যে কষ্টের জীবণ যাপন করছিল। তাদের জন্য বেশি কিছু করতে পারি নি, কিন্তু সেই স্মৃতি এখনো ব্যথা দেয়। আপনারা শ্রমিকরাই হলেন দেশ গড়ার কারিগর, আপনাদের সৃষ্টির উপর ভিত্তি করেই গড়ে উঠেছে বাংলাদেশ। আজকে যত বৈভব, যত বড় বড় স্বপ্ন তার প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে অবদান রয়েছে আপনাদের।

এ ছাড়াও সংগঠনের নির্বাহী সভাপতি মোখলেসুর রহমান মাষ্টারের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক এএএম ফয়েজ হোসেনের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উপপরিচালক হাফিজ আহমেদ মজুমদার, শ্রমিকনেতা জাকির হোসেন, আ. হাকিম, আম্বিয়া খাতুন, ইঞ্জিনিয়ার ওসমান গনি, গোলাম কাদের, নারী কমিটির সভাপতি জান্নাতুল ফেরদৌস, যুব কমিটির সভাপতি এম এম আই সবুজ খান প্রমূখ।

শ্রমিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আজকে আপনারা না থাকলে বাংলাদেশ নেই। আপনাদের কাছে থেকে মাত্র মাসিক ১০০ টাকা নিয়ে আপনাদের পুরো পরিবারের চিকিৎসার ব্যবস্থা আমরা করেছি। কোনো শ্রমিকের যদি মৃত্যু হয় তাকে ৫০ লাখ টাকার বিমা দেওয়া কোনো কঠিন কাজ না৷ দেশের বাইরে যারা অক্লান্ত পরিশ্রম করছে তাদের দেখভাল করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। গত কয়েক বছরে শুধুমাত্র কাতারেই হাজারের বেশি শ্রমিক মারা গেছে। তাদের প্রত্যেককে ৫০ লাখ টাকা কিরে দেওয়া রাষ্ট্রের কর্তব্য।


সর্বশেষ সংবাদ