রায় শুনে অঝোরে কাঁদলেন দীপনের স্ত্রী, সন্তুষ্ট বাবা
জাগৃতি প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী ফয়সল আরেফিন দীপন হত্যা মামলার রায় শুনে কাঁদলেন তার স্ত্রী রাজিয়া রহমান। মূলত পেছনের ঘটনা স্মরণ করেই তিনি কেঁদেছেন, হয়েছেন বাকরুদ্ধও। তবে এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন তার বাবা আবুল কাসেম ফজলুল হক।
আজ বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রায়ের ঠিক আগে আদালতে হাজির হন নিহত দীপনের স্ত্রী ডা. রাজিয়া রহমান, তার সাথে আসেন আতিকা রুমা ও সৈয়দ হাসান ইমামের মেয়ে সৈয়দা তানজুমা ইমাম। রায় ঘোষণার পর দীপনের বাবা গণমাধ্যমে সঙ্গে কথা বলেন। এসময় তিনি বলেন, আদালত থেকে জানানো হয়েছে, আট জনের ফাঁসির আদেশ হয়েছে। যারা আসামি তাদের সম্পর্কে আমি কিছু জানি না।
দীপনের বাবা আবুল কাসেম বলেন, সরকারি ধারায় বিচার হয়েছে। গোয়েন্দা শাখা থেকে যে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে, সেখানে যেমন বিবরণ এসেছে, সাক্ষীরা সাক্ষ্য দিয়েছেন, আসামিদের আইনজীবীরা ছিলেন, সে সবের ভিত্তিতে বিচারক বোঝার চেষ্টা করেছেন এবং রায় দেওয়া দিয়েছেন।
রায় ঘোষণার সাথে সাথে আদালতে কান্নায় ভেঙে পড়েন দীপনের স্ত্রী রাজিয়া রহমান। আদালত কক্ষ কিছুক্ষণের জন্য নিস্তব্ধ হয়ে যায়। এ সময় তিনি শুধু বলেন, ‘আমার যেন কেমন লাগছে’। তিনি আদালত কক্ষে সাংবাদিকদের কোন প্রশ্নের জবাব দেননি। তদন্ত সংশ্লিষ্ট ডিবি ইন্সপেক্টর ফজলুল হক তার পরিচয় দিলে তাকে তিনি ধন্যবাদ জানান।
এর আগে দুপুর ১২টা ২ মিনিটে ৫৩ পৃষ্ঠার রায় পড়া শুরু হয়। রায় শুনতে আদালতে দীপনের স্ত্রী রাজিয়া রহমানসহ আরও দুই স্বজন আদালতে হাজির হন। বেলা ১১টা ২০ মিনিটে আদালতের হাজতখানা থেকে ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালে আসামিদের হাজির করা হয়।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মেজর (বরখাস্তকৃত) সৈয়দ জিয়াউল হক জিয়া, আকরাম হোসেন ওরফে হাসিব ওরফে আবির ওরফে আদনান ওরফে আবদুল্লাহ, মইনুল হাসান শামীম ওরফে সামির ওরফে ইমরান, আবদুর সবুর সামাদ ওরফে সুজন ওরফে রাজু ওরফে স্বাদ।
এছাড়া খাইরুল ইসলাম ওরফে জামিল ওরফে জিসান, আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন ওরফে শাহরিয়ার এবং শেখ আবদুল্লাহ ওরফে জুবায়ের ওরফে জায়েদ ওরফে জাবেদ ওরফে আবু ওমায়ের। এদের মধ্যে প্রথম দু’জন পলাতক রয়েছেন।