চীনের শিডিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এখন ‘ঝালমুড়ি’ ওয়ালা
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) পড়াকালীন স্কলারশিপ পেয়ে চীনের শিডিয়ান ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হয়েছিলেন আবিদ রহমান। তবে করোনার কারণে চীনে যাওয়া হয়নি তার। পরে রাজশাহীর পদ্মার পারেই শুরু করে ঝালমুড়ি বিক্রি। ব্যাতিক্রমী স্বাদ, আবিদের ব্যবহার আর পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার কারণে ইতোমধ্যেই বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে তার ঝালমুড়ি।
জানা গেছে, আবিদ রহমান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগে লেখাপড়া করছিলেন। দ্বিতীয় বর্ষে ওঠার পর স্কলারশিপ পান চায়নার শিডিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ে। প্রায় এক বছর সেখানে লেখা-পড়া করেন। তবে করোনা মহামারির কারণে অন্য সকল বিদেশি শিক্ষার্থীদের মতো তাকেও ফিরে আসতে হয়। চায়নায় থাকতেই আবিদ দুই দেশের মানুষের মানসিকতা ও সংস্কৃতির মধ্যে তফাত অনুভব করেন। দেশে ফিরে সে অনুভব করে অলস বসে থাকা তার জন্য হবে আত্মঘাতি সিদ্ধান্ত। তাই শুরু করেন এই ব্যবসা।
আবিদ নিজের ব্যক্তিগত পরিচয় তুলে ধরে জানান, তাদের পৈত্রিক বাড়ি যশোরের অভয় নগরে। তবে খুলনার সোনাডাঙা এলাকায় পরিবার নিয়ে তার বাবা এখন বসবাস করছেন। কর্মজীবনের শুরুতে বাবা শিক্ষকতা করলেও পরবর্তিতে নানা ব্যবসা করেছেন। বয়স হওয়ায় এখন তিনি অবসর সময় পার করছেন। আবিদরা ৪ ভাই-বোন হলেও বোন মারা গেছেন। বড় ভাই জার্মান থেকে এমএস করে এখন হংকং সিটি ইউনিভার্সিটিতে স্কলারশিপ নিয়ে পিএইচডি করছেন। মেজো ভাই খুলনার বিএল কলেজ থেকে মাস্টার্স শেষ করে এখন মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান নগদে কাজ করেন।
আবিদ জানান, করোনা মাহামারির কারণে একদিকে যেমন শিক্ষা ব্যবস্থা স্থবির হয়ে রয়েছে, তেমনি উদ্যোক্তারাও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এমন অবস্থায় সে ‘চুই ঝাল মুড়ি’ মাখা বিক্রির মধ্য দিয়ে নিজের উদ্যোক্তা জীবনের শুরু করলেন। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তার শিক্ষা জীবন আবারো শুরু হবে। সেই সাথে একজন সফল উদ্যোক্তা হবার স্বপ্নও জারি থাকবে তার।